ভিডিও বার্তায় মোহন ভাগবৎ বলেন, 'যদি কেউ ভয়ে বা রাগ থেকে কোনও ভুল কিছু করে ফেলেন, তাহলে তার জন্য গোটা সম্প্রদায়কে ভুল বুঝে দূরে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়৷' তবলিঘি জামাতের সমাবেশের পর মুসলিম সমাজের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছিল৷ তাতে রাশ টানতেই সঙ্ঘপ্রধান এমন বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি, কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রে তিন সন্ন্যাসীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাতেও যাতে আর উত্তেজনা না বাড়ে, সহনশীলতা এবং একতার বার্তা দিয়ে সম্ভবত সেটাই বোঝাতে চাইলেন ভাগবৎ৷ দেশ বিরোধী উস্কানি দিয়ে কেউ যাতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে চিড় না ধরাতে পারে, তার জন্য ধর্মীয় গুরুদেরই এগিয়ে এসে মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে বলেও আবেদন করেন তিনি৷
advertisement
করোনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার৷ ধর্মীয় আচার পালনেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই বিষয়টি৷ আর তাকে হাতিয়ার করেও ধর্মীয় জিগিড় তুলে দেশবিরোধী শক্তি যে প্ররোচনা দিতে পারে, সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন ভাগবৎ৷
পাশাপাশি এ দিন আরও বেশি করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছেন সঙ্ঘপ্রধান৷ তাঁর মতে, লকডাউনের মধ্যে মানুষ যদি স্বদেশি পণ্যের ভরসাতেই বাঁচতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতেও তা সম্ভব৷ তিনি বলেন, লকডাউন দেশের মানুষের সামনে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে৷ কিন্তু দেশে উৎপাদিত পণ্যের গুণমানে যাতে কোনও খামতি না থাকে, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে বলেন তিনি৷ ভাগবৎ বলেন, 'কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্রামের প্রধানদের বলেছেন যে এই বর্তমান সমস্যা আমাদের আত্মনির্ভর করে তুলছে৷ আমাদের কর্মসংস্থানের উপরে জোর দিতে হবে৷ যে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরে গিয়েছেন, তাঁরা কি ফিরে এসে আসবেন? কাজ ফিরে পাবেন? তাঁদের কি মাইনে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে নিয়োগকারীদের?'
একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে দুই সন্ন্যাসীর পিটিয়ে হত্যার ঘটনারও নিন্দা করেছেন ভাগবৎ৷ তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়বে৷ এই ধরনের ঘটনা আটকাতে পুলিশ কী ভূমিকা নিচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি৷