বর্তমানে আনলক ওয়ান পর্ব চললেও রাজ্যের মধ্যে কলকাতাতেই করোনা পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ। চিকিৎসকরা বারবারই বলছেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র রাস্তা সচেতনতা এবং সতর্কতা। উত্তর কলকাতায় করোনা সর্তকতায় চলছে সচেতনতামূলক প্রচার। রবীন্দ্র সরণীর একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের পোলে লাগানো হয়েছে মাইক। বাংলা হিন্দিতে অনবরত সেখানে করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক পড়া, ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা সহ নানান সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। চলছে পুলিশের টহলদারিও।
advertisement
কিন্তু কে শোনে কার কথা, প্রচারই সার! সুরক্ষার নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই অনেকেরই বেপরোয়া মনোভাব দেখা গেল। একদিকে চলছে মাইকিং। আর অন্যদিকে সে সবকে উপেক্ষা করেই চলছে অসচেতন নাগরিকদের চলাফেরা। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। অনেকের আবার থুতনিতে ঝুলছে মাস্ক। কোথায় মাস্ক? প্রশ্ন করতেই এক এক জনের এক এক রকম সাফাই। কেউ বলছেন, 'বাড়িতে ভুলে গিয়েছি।' কেউ বলছেন, 'খুব নোংরা হয়েছিল। বাড়িতে পরিষ্কার করে শুকোতে দিয়ে এসেছি।' কারও কারও আবার অবাক জবাব,' কী হবে মাস্ক পড়ে?'
চিকিৎসকরা বারবারই বলছেন, 'বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে সুরক্ষা বিধি মেনে চলতেই হবে৷' তাও একশ্রেণfর মানুষের অসচেতনতার ছবি প্রতিদিনই নজরে আসছে।
গোটা দেশের মতো এরাজ্যেও প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য জুড়ে ৮৪৪ টি কনটেইনমেন্ট জোন বেড়ে গত দশ দিনে ১৮০৬ টি হয়েছে। কলকাতাতেও কনটেইনমেন্ট জোন যেখানে ৩৫১ টি ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১০০৯টি। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যানই বলে দেয় করোনার ছোবলের গ্রাফ কতটা ঊর্ধ্বমুখী। এর পরেও কি অসচেতনতার ছবিটা বদলাবে? সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬৩ ।গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৬৯৮ জন। তবে আশার কথা, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩৩৬ জন, যা এরাজ্যে রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৫৪২ জন।গত চব্বিশ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।উত্তর ২৪পরগণায় ৫ জন, হাওড়ায় মারা গিয়েছেন ২ জন।দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮ জন। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১৪।
VENKATESWAR LAHIRI