এদিনের অনুষ্ঠানে রামদেবের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) ও কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari)৷ রামদেবের দাবি করোনিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন 'হু'-এর সংশাপত্রও পেয়েছে৷ যা ১৫৮টি দেশে রফতানি করার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই৷
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রামদেব করোনার ওষুধ বাজারে আনলেন৷ গত বছরের মাঝামাঝি সময় যখন সারা বিশ্ব করোনা টিকার জন্য মুখিয়ে ছিল, তখন রামদেবের করোনিল হইচই ফেলে দিয়েছিল৷ তিনি জানান যে, পতঞ্জলির করোনিল ট্যাবলেট নাকি ৭ দিনেই করোনা সারিয়ে দেবে! এমনকী করোনিল বাজারেও বার করেন তিনি৷ কিন্তু এরপরেই টনক নড়ে কেন্দ্রের৷ উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ বিভাগ সাফ জানিয়ে দেয় যে, রামদেবের পতঞ্জলি করোনা চিকিৎসায় ওষুধ ব্যবহারের কোনও লাইসেন্সই নেয়নি! আয়ুর্বেদ বিভাগ আরও জানায় যে, রামদেবের সংস্থা শুধুই জ্বর ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ বানাবে বলেই অনুমোদন চেয়েছিল৷
কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুশ মন্ত্রক বাধ্য হয়ে পতঞ্জলিকে করোনার বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়। এফআইআরও হয়েছিল রামদেবের বিরুদ্ধে। বিতর্ক চাপা দিতে পতঞ্জলি জানায় যে, তারা করোনার ওষুধই বার করেনি৷ ফের একবার নয়া উদ্যমে মাঠে নামেন রামদেব৷ আয়ুশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র ও হু-র শংসাপত্র জুটিয়েই রামদেব করোনিল নিয়ে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করলেন৷