এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সারি এতই দীর্ঘ হচ্ছে যে নিউইর্য়কে মৃতদেহ কবর বা কফিনবন্দি করার মত জায়গা কমে আসছে। এখন পর্যন্ত করোনার আক্রান্ত মৃতের পরিবারের সদস্যরা ছ'দিনের মধ্যে গ্রহন না করলে হার্ট আইল্যান্ডের গনকবরে তাঁদের কবর দেওয়া হচ্ছে। নিউইর্য়কে প্রায় সব মর্গ-গুলো এখন মৃতদেহে পরিপূর্ণ। নিউইর্য়কের বিভিন্ন রাস্তার পাশে পার্ক করা সারি সারি ফ্রিজের ট্রাকগুলোতেও মৃতদেহ ভর্তি। করোনাতে মানুষ এত দ্রুত মারা যাচ্ছে যে নিউইর্য়ক শহরের আশেপাশের কবরস্থানগুলোতে মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা পর্যন্ত নেই। কোথাও দেহ রাখার কোন জায়গা নেই—তাই নিউইয়র্কের সরকার করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে, তাঁর দেহ পার্কে কবর দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
advertisement
নিউইর্য়ক সিটির কাউন্সিলম্যান মার্ক লেভিন জানিয়েছেন, তাঁদের সাময়িকভাবে মৃতদেহগুলি নিউইর্য়কের পার্কগুলোতেই কবর দিতে হবে। নিউইর্য়কের সব রেস্তোরা, শপিং মল, সিনেমা হল, স্কুল-কলেজ, এবং সবধরনের খেলাধুলা বন্ধ। প্রায় সব বিমান বন্দর, রাস্তা-ঘাট, সাবওয়ে স্টেশন, এবং বাস টার্মিনালগুলো জনশূন্য। থমকে গিয়েছে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যোগাযোগ। একমাত্র কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে বহু নিউইর্য়কবাসীরা নিজ নিজ বাড়িতে আশঙ্কার প্রহ গুনছেন। চাকরি-চ্যুত হয়ে নিউইর্য়কবাসীরাও অনিশ্চিত জীবন-যাপন করছে। প্রয়োজন-ব্যতীত কেউ এখন ঘর থেকে বাইরে যান না। নিউইর্য়কবাসীর এখন অ্যাম্বুলেন্স, দমকল, এবং পুলিশের গাড়ির আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে। চারিদিকে হাহাকার। ঘরের জানালা খুললে আগের মত নির্মল বাতাস উপলব্ধি করা যায় না—ভেসে আসে যেন শুধু লাশের ঝাঁঝাল গন্ধ।