প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাহুলের আরও দাবি, 'সরকারের দ্রুত কাজের পদ্ধতি বদলানো দরকার। মিথ্যে ও প্রোপাগান্ডা দিয়ে কাজ হবে না। মৃত্যুর হার নিয়ে মিথ্যে কথা রটানো হচ্ছে। এটা রাজনীতি করার সময় নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোটা অনেক বেশি প্রয়োজন।' রাহুল দাবি করেছেন, তিনি ও অন্য অনেকেই কেন্দ্রকে প্রথম থেকে সতর্ক করেছিলেন।
রাহুলের কথায়, 'আমি এবং অনেকেই কেন্দ্রকে কোভিড নিয়ে সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের বিদ্রূপ করে গিয়েছে। মুশকিলটা হল প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্র করোনাটা কী সেটা বুঝতেই পারছে না। এটা শুধু একটা রোগ নয়, এটা এক ধরনের বিবর্তিত রোগ... যত সময় দেওয়া হবে, তত এই রোগ ভয়াবহ হয়ে উঠবে।' দেশবাসীকে করোনার টিকাকরণ নিয়েও ফের একবার মোদিকে আক্রমণ করেছেন রাহুল।
advertisement
রাহুল গান্ধি এদিন বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একমাত্র পথ টিকাকরণ। তার সঙ্গে লকডাউন সামান্য স্বস্তি দিতে পারে। তিনি দাবি করেছেন, সরাসরি তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করেছিলেন কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতি নিয়েও। রাহুলের কথায়, 'দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশের টিকাকরণ করা হয়েছে এখনও অবধি। আমরা ভাইরাসের জন্য দরজা খুলে রেখে দিয়েছি। টিকাকরণ নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। একেক জায়গায় টিকার ভিন্ন ভিন্ন দাম। এভাবে চলতে থাকলে ২০২৪ সালের আগে দেশবাসীকে টিকা দেওয়া শেষ করা যাবে না। এভাবে তো একের পর এক ভাইরাসের ঢেউয়ের সম্মুখীন হতে হবে।'
অন্যদিকে, দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হলেও কমছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বেশ কিছু দিন ধরে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। যা খানিকটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে গবেষকদের। দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ২ লক্ষের নিচে। দেশের বেশ কিছু অংশে সংক্রমণ কমতে দেখা গিয়েছে, যার প্রভাবে দেশের সক্রিয় করোনা কেসও খানিকটা হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬৪ জন। গত ৪৪ দিন পর দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা সবচেয়ে কম। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ১৪ এপ্রিল দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ১.৮৪ লাখ ছিল। তারপর থেকে গ্রাফ ক্রমাগত চড়েছে । এই বৃদ্ধির জেরে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৫৭ জন। বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে ভারত। প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা।
