কর্মীদের ই-মেল করে কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে এয়ারলাইন্সের সিইও আকবর আল বেকারের তরফে ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গোটা বিশ্বেই বিমান শিল্পের অবস্থা এখন খুব খারাপ ৷ অনেক এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ অনেক বিমানসংস্থা তাদের অপারেশন বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ করতে চলেছে ৷ অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটের ৷ অনেক দেশেই বিমান চলাচল এখনও শুরুই হয়নি ৷ ফলে আমাদের পক্ষেও সব জায়গায় বিমান চালানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ প্রচুর বিমান এখন বসে গিয়েছে ৷ এখনই কোনও ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতের জন্য তা আরও খারাপ হবে ৷ ’’
advertisement
তবে একইসঙ্গে কর্মীদের জন্য আশার খবরও জানিয়েছেন কাতার এয়ারওয়েজের সিইও ৷ সেটা হল, বিশ্বজুড়ে অবস্থার উন্নতি হলে চাকরি হারানো কর্মীদের ফের সংস্থায় চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করবে কাতার এয়ারওয়েজ ৷ যে সমস্ত কর্মীদের চাকরি যাবে, তাদের সমস্ত বকেয়া টাকা এবং ওভারটাইমের টাকা বেতনের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হবে ৷ এমনকী, লকডাউনের জন্য চাকরি হারানো কোনও বিমানকর্মী যদি নিজের দেশে ফিরে যেতে না পারেন, তাহলে উড়ান চালু না হওয়া পর্যন্ত তাঁর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ৷ কাতারের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারলাইন্স এমিরেটস এবং এতিহাদ এখনই কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা কিছু ঘোষণা না করলেও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আরেক লো কস্ট বিমানসংস্থা এয়ার আরবিয়া ইতিমধ্যেই ৫০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে ৷