করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেড় মাস ধরে লকডাউন চলছে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে। তৃতীয় দফায় এসে সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে। তবে তার আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংক্রমিত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কলকাতায় উত্তর দক্ষিণ মিলে বিস্তীর্ণ এলাকা চিহ্নিত হয়েছে সংক্রমিত এলাকা বা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে।কিন্তু সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার না আছে ভয় না আছে প্রশাসনের পরোয়া।
advertisement
উত্তর কলকাতার মানিকতলা, বিবেকানন্দ রোড, বিধান সরণী, গিরিশ পার্ক সহ একাধিক এলাকার বহু রাস্তা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সব রাস্তার মুখ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেন চলছে ব্যারিকেড টপকে ঢোকা বেরনোর প্রতিযোগিতা। প্রায় প্রতিটি রাস্তার ব্যারিকেড কোথাও সামান্য, কোথাও অর্ধেক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অনেক জায়গায় আবার ওপরের বাঁশটি রেখে বাকিগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। তার নীচ দিয়ে চলছে আসা যাওয়া। কৈলাশ বোস স্ট্রিটে এই রকম ব্যারিকেডের নীচ দিয়ে সাইকেল এমন কি মোটর সাইকেলও গলে যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি মাস্ক না পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার পকেটে মাস্ক নিয়ে বেরিয়েছেন। মানিকতলা বাজারে বাজার করতে আসা চন্দন দাশগুপ্ত বলেন, 'যা গরম পড়েছে তাতে আর মাস্ক পরে থাকা যাচ্ছে না। পকেটে রেখেছি, দরকার মনে হল পড়ে নেব। তাছাড়া সরকার তো অনেক কিছুতেই ছাড় দিয়ে দিয়েছে। যা করেছে সেটা নিশ্চই বুঝেশুনেই পড়েছে। তাছাড়া অত ভাবলে জীবনে আর বাড়ি থেকে বেরনো যাবে না।' গিরিশ পার্কে রাজু সিং বলেন, 'একটা মাস্ক কিনেছিলাম। দিন সাতেক আগে ছিঁড়ে গেছে। তারপর আর কিনিনি।'
SOUJAN MONDAL