সম্পূর্ন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই প্রেক্ষাগৃহকে করোনার টিকাকরণ কেন্দ্রে (Vaccination Center) রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রিয়া সিনেমা হলের কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত৷ তিনি বলেন, "দেখেছি টিকা নিতে আসা আসা প্রবীণ নাগরিকরা অনেক সময়ই লাইনে দাঁড়িয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ একটু বিশ্রামের জায়গা পর্যন্ত মেলে না স্থান সংকুলানের দরুন।" অরিজিৎ মনে করছেন প্রিয়া সিনেমা হলে টিকা কেন্দ্র হলে প্রবীণ নাগরিকদের অনেকটাই সুবিধাই হবে ।অরিজিৎ আরও জানিয়েছেন, প্রিয়া সিনেমা হল এর তিনটি ফ্লোরের মধ্যে, নিচের তলাটি ব্যবহার হবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য, দোতলায় হবে টিকাকরণ এবং হলের ভেতরে থাকবে বিশ্রামের ব্যবস্থা। এবং অত বড় হলে যে সামাজিক দূরত্ব রাখা খুব একটা কঠিন হবে না সে কথাও মনে করলেন প্রিয়া হলের কর্ণধার। প্রতি ঘন্টায় ১০০ জন করে টিকা নিতে পারবেন। এই টিকাকরণ চলবে আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাস। ততদিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রেক্ষাগৃহ৷
advertisement
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়াবাড়ির পরই শহর ও শহরতলীর সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন হল মালিক সংগঠনগুলি। এমনিতেও ভাইরাসের ভয়ে হলগুলিতে দর্শক সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই সিনেমা হল বন্ধের সরকারি নির্দেশিকা আসার অনেক আগেই হল বন্ধ করে দেয় সিঙ্গল স্ক্রিন হল মালিকরা। এবার তাঁদেরই পক্ষ থেকে এই অভিনব উদ্যোগ ভরসা যোগাচ্ছে শহরবাসীকেও।