অতিমারী প্রেক্ষিতে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কারা বিভাগের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন মঙ্গলবার। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বিষয়ে। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দি থাকা দুই হাজার সাতশো সাজাপ্রাপ্ত আবাসিক কে প্যারোলে ছাড়া হবে বলে স্থির হয়েছে। তাদের প্যারোলে ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে অন্য বিচারাধীন আবাসিকদের জামিনে মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে আজকের বৈঠকে ঠিক হয়েছে।
advertisement
সংক্রমণ আটকাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আবাসিকদের সঙ্গে তাদের আত্মীয় পরিজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি সব আবাসিকদের একসঙ্গে ওয়ার্ডের বাইরে বের না করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছর করোনা সংক্রমনের জন্য একইভাবে বেশকিছু আবাসিককে প্যারোলে ছাড়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের তৈরি বিশেষ একটি কমিটিকে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়। নির্দেশে বলা হয় গত বছর সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে যাঁদের ছাড়া হয়েছিল, এবারও তাঁদের ৯০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে জেলে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে যেন তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত বন্দি ও জেলকর্মীদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় সতর্কতা।এই মুহূর্তে একান্ত জরুরি না মনে হলে কাউকে গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকতে হবে পুলিশকে। সেই সঙ্গে গতবারের মতো এবারও জেল (Prison) থেকে বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার মতো ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশই কার্যত এবার কাজে রূপায়িত করতে চলেছে রাজ্য কারা দফতর।