রাজ্য করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতির মাঝেই শুরু হয়ে যায় লক ডাউন।বাজার ঘাট, দোকান পাট, এমন কি পরিবহন ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়।এমতো অবস্থায় চিকিৎসক, নার্স ও সাফাই কর্মীদের পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুপমেন্ট সবার আগে দরকার।রাজ্য মজুতে সেই অর্থে পিপিই অতি সামান্য। এক কথায় নেই বললেই চলে।
অবস্থা সামাল দিতে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা তন্তুজকে তৈরী হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা জানায়, দ্রুত দু লাখ পিপিই তারা তৈরী রাজ্য সরকারকে দেবে।সেই বরাতে কাজ চলছে বর্তমানে বারাসাতে ও উত্তর ২৪ পরগনার নানান ব্লকে।একটি পিপিই কিটে থাকে পুরো শরীর আচ্ছাদন করা একটি কাপড়, চশমা, মাস্ক,টুপি,গ্লাভস,পায়ের জুতোকে কভার করা বিশেষ ধরনে শু কভার।বারাসাতে হচ্ছে এই সব পিপিই অ্যাসেম্বেলিং ও প্যাকেজিং।
advertisement
তন্তুজ থেকে বরাত পাওয়া সংস্থার কর্তা বলাই দে বলেন, তারা নন ওভেন এক ধরনের কাপড় দিয়ে জামা ও প্যান্টকে কভার করা একটি মাত্র সিটে বস্ত্র বানিয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্দেশ মেনে।লক ডাইন শুরু হয়ে যাওয়ার পর অর্ডার আসায় প্রথমে যাতায়াতের বড় সমস্যা হচ্ছিল। এই জিনিসগুলি বানাবার র ম্যাটিরিয়াল যোগাড় করা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।আর একটি বা দুটো নয়। এক লাখ পিপিই বানাবার দায়িত্ব তাদের উপর পড়েছে ।তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী, দিনে চার হাজার পিপিই তারা তৈরী করছেন।বারাসাতে তাদের দফতরের সামনে এক প্রকার ওয়ার ফুটিং কাজ হচ্ছে। তিন লেয়ারে মাস্ক, সার্জিক্যাল গ্লাভস,জুতো টুপি ও কাপড় গাট্টি বেঁধে সরবরাহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারা।এখানকার এক কর্মী শঙ্কর দাসের দাবী, শুধুমাত্র করোনা ফাইটাদের প্রোটেকশন তৈরী করতে ১৮ ঘন্টা টানা পরিশ্রম করছেন ।
Rajorshi Roy
