১. হোম আইসেলেশনে থাকা রোগীরা লক্ষণগুলির সূত্রপাত হওয়ার কমপক্ষে ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে (নমুনা দেওয়ার তারিখ থেকে) এবং ৩ দিনের জন্য কোনও জ্বর না আসার পর আইসোলেশন শেষ করতে পারেন। হাসপাতালের ক্ষেত্রেও সময়সীমা একই হবে। হোম আইসোলেশনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে আর কোনও পরীক্ষার দরকার নেই।
২. পালস্ অক্সিমিটারের মাধ্যমে দৈনিক অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করুন। ঘরের বাতাসে অক্সিজেন লেভেল ৯৪-এর বেশি থাকা বাঞ্ছনীয়।
advertisement
৩. অত্যাধিক কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত যে কোনও অসুবিধার জন্য রোগীকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।
৪. প্রতি দিন দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ করুন।
৫. অলসতা, তন্দ্রা এই ধরণের বিষয়গুলির উপর নজর রাখুন।
৬. ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ। করোনা সংক্রমণ (অন্য কোনও সংক্রমণ হিসাবে) শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা পরিবর্তন করে। প্রতি ৩ দিনে একবার বিশেষ পর্যবেক্ষণ এবং ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ প্রয়োজন।
৭. হাইপারটেনশন সম্পর্কিত জটিলতাগুলি এড়াতে পরিচিত হাইপারটেনসিভ রোগীদের নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
৮. শরীরের অক্সিজেনের চাহিদা কমাতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিন। বেশি পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
৯. জল, নারকেল জল, জুস, স্যুপ এবং তরলযুক্ত ফল (তরমুজ, খরমুজ ইত্যাদি) খেয়ে তরল গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।
১০. দুধ, পনির, চিনাবাদাম, ডাল, ডিম এবং আমিষ জাতীয় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
১১. নিজেকে স্থির ও শান্ত রাখতে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করুন।
১২. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করবেন না। বেশি পরিশ্রম অক্সিজেনের চাহিদা আরও বাড়িয়ে তুলবে। অক্সিজেনের চাহিদা হ্রাস করতে যথাযথ বিশ্রাম নিন।
১৩. মুক্ত হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন। জ্বর, অসহনীয় কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো কোনও লক্ষণ দেখা দিলে তড়িঘড়ি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
১৪. প্রথমে CBC-এ মতো রক্ত পরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন।
১৫. যদি চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন কোভিড পরবর্তীকালে ফুসফুলের অবস্থা জানার জন্য তিন মাস পরে বুকে সিটি স্ক্যান করুন।
