মোট ৩০০ জন ভ্যাকসিন পেলেও লাইনে থাকেন ৬০০ থেকে ৭০০ জন গ্রামবাসী। ভোর থেকে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দেওয়ার। আগে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায় সেখানে গা ঘেঁষে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন সকলেই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চাকুলিয়া থানার পুলিশ সেখানে হাজির হন। পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই তাদের চক্ষু চড়কগাছ। সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে গা ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়েছেন বাসিন্দারা। সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানান। সেই আবেদন গ্রামবাসীরা সাড়া না দেওয়ায় পুলিশ অফিসার দেবাশিস পোদ্দার হাত জোর করে সামাজিক মানার জন্য আবেদন করেন।
advertisement
পরবর্তীতে পুলিশ তাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে ভ্যাকসিনের জন্য লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য করান। পুলিশ অফিসার দেবাশিস পোদ্দার জানান, ভ্যাকসিন নিতে এসে মহিলারা যেভাবে গা ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়েছেন তাতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে।তাই মায়েদের কাছে হাতজোড় করে সামজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াবার অনুরোধ করেন। সবাই করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন নিন সেই আবেদনও করেছেন। কঙ্কনা দাস নামে এক মহিলা মাস্ক না পড়েই লাইনে দাঁড়িয়েছেন এরকমও দেখা যায়। মাস্কের কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি মাস্ক পরে নেন।সামজিক দূরত্ব যে মানা হচ্ছে না সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, পিছনের মহিলারা ঠেলাঠেলি করাতেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ অফিসার তাঁদের জন্যই অনুরোধ করেছেন।পুলিশ অফিসার অনুরোধ করলেও বহু মহিলা সেই অনুরোধ উপেক্ষা করেই লাইন দিচ্ছেন। মুক্তি পাল নামে এক মহিলা জানালেন,তিনি ভোর চারটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে অনেকেই পরে এসে হুরোতাড়া করে আগে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতেই পুলিশ অফিসার হাতজোর করে অনুরোধ করছেন।
Uttam Paul
