মন্ত্রিসভার সব সদস্যদের নিয়ে কয়েক মাস অন্তরই এই ধরনের সমীক্ষা বৈঠক করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Coronavirus Second Wave) শুরু হওয়ার পরে এই প্রথমবার সমীক্ষা বৈঠক হল। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, রবিশংকর প্রসাদ ও হরদীপ সিং পুরী তাঁদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সড়ক ও পরিবহণ, তথ্য ও প্রযুক্তি এবং অসামরিক বিমান চলাচলের বিষয়ে কাজের দীর্ঘ খতিয়ান তুলে ধরেছেন। বৈঠকে মূলত মন্ত্রকগুলির রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠকে প্রাধান্য পায় করোনা ভাইরাস।
advertisement
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে (Coronavirus Second Wave) কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খেয়েছে সরকারের ভাবমূর্তি। সেই ভাবমূর্তিতে পুনরায় আগের জায়গাতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য কী কী রণকৌশল নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়েও এদিনের বৈঠকে দিকনির্দেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে করোনার টিকাকরণের বিষয়টিকে যে সবার আগে তুলে ধরতে হবে এবং আগামিদিনে টিকাকরণের কাজ কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে সেই সংক্রান্ত রোডম্যাপ তুলে ধরে মন্ত্রীদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল। তিনি করোনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করেন। এরপর টিকাকরণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সব মন্ত্রীদের বলেন মানুষকে বুঝিয়ে টিকা নিতে অনুপ্রাণিত করার জন্য। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে টিকাই যে এই মুহূর্তে একমাত্র হাতিয়ার, তা যেন মানুষকে বোঝানো হয়। তাছাড়া করোনা-পরবর্তী সময়ে কীভাবে সঙ্কট দূর করে দেশের অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে মন্ত্রীদের কাছে তাঁদের ভাবনা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বা ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে, সেই প্রকল্পগুলি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীদের উপর।
এদিকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৫ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। রাজেশ ভূষণ চিঠিতে দাবি করেছেন যে গত ২১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ-সহ এই রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজ্যগুলিকে আরটি-পিসিআর টেস্ট বৃদ্ধিতে নজর দিতে বলেছেন। পাশাপাশি করোনা পজিটিভিটির হার ১০ শতাংশের নিচে নামাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।