এদিন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন সাংবাদিক কুমার কেতকর এই বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কেতকর প্রশ্ন করেন, কোভিড-১৯ টিকার সার্টিফিকেটে (Covid-19 Vaccine Certificate) প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ছবি প্রিন্ট করা কী বাধ্যতামূলক, তার প্রয়োজনীয়তা ঠিক কী? এই সিদ্ধান্তের পিছনে কী কী কারণ রয়েছে এবং কে এই ছবি ও বার্তা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সেই প্রশ্নও করেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ।
advertisement
জবাবে, রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পওয়ার বলেন, কোভিড মহামারি এবং তার ক্রমাগত বদলে যাওয়া প্রকৃতির প্রেক্ষিতে কোভিড-উপযুক্ত আচরণগুলিই রোগের বিস্তার রোধের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। টিকা নেওয়ার পরেও যাতে ভারতীয়রা কোভিড-১৯ মহামারির সময়ের উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করেন, সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে টিকার শংসাপত্রে। এই ধরনের বার্তাগুলি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াটা নিশ্চিত করা, 'সরকারের নৈতিক দায়িত্ব'। আর প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও বার্তাই সেক্ষেত্রে 'সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি'। তাই সচেতনভাবেই তাঁর ছবি ও বার্তা বস্তুত করোনা সচেতনতার বার্তাটিকেই আরও শক্তিশালী করেছে।
মন্ত্রী আরও জানান, কো-উইনের মাধ্যমে ভারত সরকারের দেওয়া করোনা টিকাদান শংসাপত্রটির বিন্যাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করা হয়েছে। তিনি জানান, হু নির্দেশ দিয়েছে, টিকা নেওয়ার পরেও কোভিড মহামারিকালীন উপযুক্ত আচরণবিধি অনুসরণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে, টিকা সার্টিফিকেটেই প্রয়োজনীয় বার্তা দিতে হবে। সেই বিষয় বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি-সহ শংসাপত্রটি ছাপার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে বাকি প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেও কুমার কেতকরের একটি প্রশ্নের জবাব দেননি ভারতী প্রবীণ পওয়ার। কেতকর জানতে চেয়েছিলেন, এর আগে কোন সরকার পোলিও, গুটিবসন্ত ইত্যাদি রোগের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে কি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রিন্ট করা আবশ্যিক বা বাধ্যতামূলক করেছিল? এর জবাব অবশ্য দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।