অস্বীকার করা যায় না যে কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ সারা বিশ্বের পক্ষেই দুশ্চিন্তার বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক এই খবর যেন একটু বেশিই ভাঁজ ফেলবে এ দেশের কপালে। কেন না, যে সমীক্ষার ভিত্তিতে এই সত্যটি উদ্ঘাটিত হয়েছে, তা সংঘটিত হয়েছিল ভারতেই। তা ছাড়া কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ সব দিক থেকেই যে বেশি বিপদে ফেলবে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে, সে কথাও তো বার বার করে উল্লেখ করছে নানা সমীক্ষা।
advertisement
সমীক্ষাটি কী বলছে, সে কথায় আসার আগে সংক্ষেপে প্লাজমা থেরাপির বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। এই চিকিৎসাপদ্ধতির পুরো নাম কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এমন কোনও করোনারোগীর শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তা সরাসরি প্রয়োগ করা হয় অসুখের সঙ্গে যুঝতে থাকা মানুষের শরীরে৷ জানা গিয়েছে যে ২৩৯ জন পূর্ণবয়স্ক করোনারোগী নিয়ে এই সমীক্ষাটি করেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, তামিলনাড়ুর গবেষকরা। তাঁরা এই ২৩৯ জন রোগীর মধ্যে ২২৯ জনের শরীরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু'বার সুস্থ রোগীর রক্ত প্রয়োগ করেন। পাশাপাশি চলতে থাকে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে চিকিৎসাও।
কিন্তু এই পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল মেলেনি। খবর বলছে যে, এক মাসের ব্যবধানে এই ২২৯ জনের মধ্যে ৪১ জন অর্থাৎ ১৯ শতাংশ রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়েছে, বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। যদিও গবেষকরা এটা উল্লেখ করতে ভুলছেন না যে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে প্রথম সাত দিনে রোগীর স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছিল।