কয়েক সপ্তাহ আগেই সাবিত্রী উৎসব উপলক্ষে মহাপ্রসাদ পেতে বহু ভক্তের ভিড় হয় পুরীর মন্দিরে। শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্ব। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে যে মহাপ্রসাদ বিতরণই বন্ধ রাখে মন্দির কর্তৃপুক্ষ। বরখাস্ত করা হয় দুই সেবায়েতকে। জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ ছাড়া জন্ম, মৃত্যু কিংবা বিয়ে বা অন্নপ্রাসন,...যে কোনও অনুষ্ঠানই অসম্পূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে অনলাইনে মহাপ্রসাদ পেতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
advertisement
জগন্নাথ দেবের প্রসাদ যাঁরা তৈরি করেন, সেই সুয়ারা ও মহাসুয়ারা নিযোগের দাবি, অনলাইনে মহাপ্রসাদ বিক্রি হলে তার মাহাত্ম্য কমে যাবে। এটা ঐতিহ্য বিরোধী-ও। সামাজিক সুরক্ষাবিধি বজায় রেখে মহাপ্রসাদ বিলির উপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মন্দিরের চারটি গেটে ঝোলানো ফ্লেক্সে দেওয়া থাকবে নিযোগ প্রধানের মোবাইল নম্বর। সরাসরি ফোন করে আগাম বুক করা যাবে মহাপ্রসাদ।
যদিও এই কথা মানতে না চেয়ে আপাতত আদালতের দিকেই তাকিয়ে আছেন জগন্নাথদেবের ভক্তরা।