#শিলিগুড়ি: করোনায় দেশ জুড়েই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। রাজ্যেও নতুন করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সর্বত্রই করোনা সতর্কতার কড়াকড়ি। করোনা মোকাবিলায় আজ দেশ জুড়ে জনতা কার্ফুর ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। এর ব্যপক সাড়া পড়েছে শিলিগুড়িতেও। সকাল ৭টা বাজতে না বাজতেই শহর ফাঁকা। রাস্তাঘাট, বাজার যেদিকেই চোখ যায়, জন শূণ্য। যে শহরে প্রতিদিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়। আজ সেই শহর শিলিগুড়ি জনহীন। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিন, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্র একই ছবি।
advertisement
শহরের ব্যস্ততম বাজার বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, সুভাষপল্লি বাজার, গুরুং বস্তি, প্রধাননগর, টাউন স্টেশন বাজার সর্বত্রই খাঁ খাঁ করছে। লোকের দেখা নেই। ঘরে বসেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল শিলিগুড়িবাসীও। তবে অযথা আতঙ্কিত নয়, সতর্ক থাকছেন শহরবাসী। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে চলছেন সকলেই। শহরের অলি গলিতেও একই ছবি। পাড়ার দোকানপাট সব বন্ধ। এমনকী ওষুধের দোকানও অধিকাংশ ছিল বন্ধ। শুনশান সর্বত্র। এক নিস্তব্ধতার ছবি।
সকলেই রইলেন গৃহবন্দী। করোনার বিরুদ্ধে এক অন্য লড়াইয়ের সাক্ষী রইলো গোটা শহর। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাড়ির বাইরে হননি। রবিবাসরীয় ছুটির দিনে মল, বিনোদন পার্ক যেখানে ভিড়ে ঠাসা থাকার কথা। সেখানে আজ ভিন্ন ছবি। সব জন শূণ্য। খাঁ খাঁ করছে উত্তরের প্রধান শহর। রেগুলেটেড মার্কেটও আজ মানবহীন। শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলিও ছিল জনমানবহীন। টোটো, সিটি অটোর দেখা নেই। এমনকী নামেনি রিকশও। তবে কিছু অতি উৎসাহী, কৌতুহলী মানুষ শহরের পরিস্থিতি দেখতে বাইকে বের হন। মোবাইলে শহরকে ক্যামেরাবন্দী করতে। এদিন বিভিন্ন মোড়ের চায়ের দোকানও ছিল শাট ডাউন। সকালের দিকে কিছু চায়ের দোকান খোলা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ফাঁকা। এমনকী পাড়ার মোড়ে আড্ডা আর তাস খেলার ছবিও আজ উধাও হয়ে যায়।