করোনার রূপান্তর হওয়ার দরুন তা আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ করতে পারে জানিয়েছিলেন গবেষকরা। করোনার দু’টি প্রজাতির মধ্যে স্পাইক প্রোটিনের (N501Y) মধ্যে সামান্য তফাৎ ঘটেছে। গ্যাল্ভেসটন-এর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিক্যাল শাখার গবেষকরা পরীক্ষা চালিয়ে দেখেন যে, করোনার নয়া স্ট্রেন ফাইজার প্রতিষেধককে কতটা প্রভাবিত করছে! ফাইজার টিকা নিয়েছেন, এমন ২০ জন ব্যক্তির রক্তকে নমুনা রূপে ব্যবহার করেছিলেন গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের রক্তে অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসটিকে সফলভাবে প্রতিরোধ করে। বৃহস্পতিবার একটি অনালাইন গবেষণা পোর্টালে তাঁরা এই খবরটি দেন।
advertisement
ফাইজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার ফিলিপ ডরমিটজার বলেছেন, করোনার রূপান্তর নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন ছিল। তবে এটি অত্যন্ত আশ্বাসের বিষয় ছিল যে ফাইজার ভ্যাকসিন এর বিরুদ্ধে কার্যকরী। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসগুলি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে পরিবর্তন হয়। প্রায় এক বছর আগে চিনে প্রথম এই করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়েছিলেন যে পরিবর্তনগুলি কীভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, ব্রিটেনে করোনার যে বৈকল্পিক চিহ্নিত হয়েছে তা ইংল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। সেই মিউট্যান্টটি এখন আমেরিকা এবং অন্যান্য অনেক দেশে পাওয়া গিয়েছে।
