এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ভিড় থিক থিক করছে। রাস্তার দু'পাশে মানুষের জটলা। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড রেল দিয়ে রাস্তা সিল করে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করেই মানুষ যাতায়াত করছেন। বিক্ষিপ্তভাবে খুলেছে দোকানও। সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সামাজিক দূরত্বকে না মেনেই চলছে জমায়েত। কনটেইনমেন্ট জোনে 'ফুল লকডাউন' মানার ক্ষেত্রে কার্যত বেপরোয়া একশ্রেণীর নাগরিকরা। অনেকের আবার মুখে মাস্কও নেই। ন্যূনতম সুরক্ষাবিধি না মেনে বেশ কয়েকজন মানুষকে মাস্ক বা কোনও রকম ফেস কভার না পড়েই রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেল।
advertisement
কেন মাস্ক পড়েননি ? প্রশ্ন করতেই নানান অজুহাতের কথা শোনালেন। নলিন সরকার স্ট্রীটে অবশ্য দেখা গেল পুরসভার সাফাই কর্মীরা সাফাই অভিযানে নেমেছেন। ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে এলাকা জীবাণুমুক্তকরণের কাজও চলছে। বাগবাজারের শচীন মিত্র লেনের একাধিক জায়গায় পুলিশের তরফে বসানো রয়েছে গার্ড রেল। তবে এখানে কনটেইনমেন্ট জোনের নজরদারিতে দেখা মিলল না কোন পুলিশকর্মীর। আশেপাশের দোকানপাটও খোলা। স্থানীয় কাউন্সিলর বাপি ঘোষের বক্তব্য, 'আমরা বাসিন্দাদের ঘরে থাকার বারবার অনুরোধ করছি। আমার ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছি। কারও যদি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রয়োজন হয় তাহলে সব সময় নাগরিকদের বলছি একটা ফোন করতে। যথাসম্ভব পাশে থাকব।'
লকডাউনের নিয়ম উড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল-সন্ধ্যা খোলা বাজারে থিকথিক করছে ভিড়। বন্ধ নেই মোটরবাইক বা গাড়ি নিয়ে অকারণে ঘোরাঘুরিও। কলকাতাতেও কারণে-অকারণে এখনও রাস্তায় বেরোনো বন্ধ হয়নি। প্রবল ভিড় বাজারগুলিতে। বন্ধ হয়নি রাস্তার আড্ডাও। কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে কলকাতার চিহ্নিত জ়োনের অনেক জায়গাতেই আবার পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। যেখানে গার্ডরেল রয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি যেন ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’র মতো।
VENKATESWAR LAHIRI
