তিথি নক্ষত্র মেনে এই পুজো করা হচ্ছিল না। সরস্বতী পুজোর সময় চিনে স্প্রিং ফেস্টিভাল চলছিল। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ২৫শে জানুয়ারির পর থেকে উৎসবে মাতেন চিনের মানুষরা। সেই সময় কমিউনিটি হল ফাঁকা না পাওয়ায় ঠিক হয় ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার হবে বেজিং বংসের তৃতীয় সরস্বতী পুজো। সেই মতোই চলছিল সবকিছু।
২৯শে জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিনে এল সেই অভিশপ্ত বার্তা। ততদিনে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের ছড়িয়েছে করোনা আতঙ্ক। আতঙ্কের আবহে শুনশান চীনের বিভিন্ন প্রদেশ। বাড়ি ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না কেউ। উদ্যোক্তারা মোবাইল বার্তায় জানিয়ে দিলেন করোনা আতংকে আপাতত বন্ধ থাকছে সরস্বতী পুজো।
advertisement
কিন্তু তার মধ্যেই কুমোরটুলির মিন্টু পালের ওয়ার্কশপে ধীরে ধীরে রূপ পাচ্ছিলেন দেবী সরস্বতী। ফাইবার কাস্টিং এর কাজ শেষ হয়েছিল। প্রয়োজন শুধু রং এর। বাংলায় যখন সরস্বতী পুজোর তোড়জোড়। সেই ২৯ শে জানুয়ারি পুজোর দিনেই এলো পুজো বন্ধের বার্তা। প্রতিমা তৈরীর কাজ বন্ধ করে দিলেন মিন্টু পাল। ফাইবারের অসমাপ্ত দেবীমুর্তির স্থান হল মিন্টু পালের ওয়ার্কশপে।
ভারত ও চীন দুই দেশের দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়েছিল বেজিং বংস। উদ্যোক্তারা ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে বেইজিংয়ে কুমোরটুলির প্রতিমা নিয়ে যাবেন কথা ছিল। তার আগেই পুজো বন্ধের বার্তা এলো। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা অর্ঘ্য বিমলমিত্র জানান, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে স্বাস্থ্য দপ্তর কোনরকম গেট টুগেদার বা সমাবেশ না করতে অনুরোধ করেছে। তাছাড়া পুজোয় যে বাচ্চাদের নিয়ে আনন্দ করা হবে বলে ভাবা হয়েছিল, এই আতঙ্কে সেটা সম্ভব নয়। তাই এবারের পুজো আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল এই সরস্বতী পুজো। তবে করোনা ভাইরাসের জন্য তা মাত্র তিন বছরের মাথাতেই বন্ধ হয়ে গেল।
BISWAJIT SAHA