স্বাস্থ্য কর্মীদের বক্তব্য ১০০ বছর পূর্ণ করতে চলা দ্বারভাঙা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মীদের মুখে ত্রাহি মধুসূদন রব উঠেছে। জল ঠেঙিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হওয়া এক নার্সের কথায়, "আর সহ্য করা যাচ্ছে না।" নিজের ২৬ বছরের চাকরি জীবনে পরিস্থিতির এতটুকু পরিবর্তন হয়নি দাবি ওই স্বাস্থ্য কর্মীর। উল্টে ভাঙাচোরা রাস্তা, আবর্জনার স্তূপ, শুয়োরের অবাধ যাতায়াতে এই হাসপাতাল করোনা ভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য রোগের আতুরঘরে পরিণত হয়েছে বলে দাবি ওই নার্সের। একই মত হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।
advertisement
হাসপাতালকে ঘিরে সমস্যার কথা মেনে নিয়েও সুপারের কথায়, তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের আবহে বিহারের শতাব্দীপ্রাচীন হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও রোগীদের সুস্থ করে তুলতে বদ্ধপরিকর। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ নতুন পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন দ্বারভাঙা হাসপাতালের সুপার। জানিয়েছেন যে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে অন্তত অক্সিজেন এবং ওষুধের অভাব নেই।
হাসপাতাল সুপার যাই বলুন, দ্বারভাঙার ওই এলাকায় যে জল জমে থাকার সমস্যা রয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন জেলার ডিডিসি তনয় সুলতানিয়া। পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জেলাশাসক ১৫ দিনের মধ্যে হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই প্রশাসনিক কর্তা। বক্তব্য, হাসপাতালের পাশে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ সরাতেও উদ্যোগী প্রশাসন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিহারে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪২৪১ জন। শুধু তাই নয় করোনা পরবর্তী হোয়াইট ছত্রাকের সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই রাজ্যেই। অথচ তারই মধ্যে দ্বারভাঙা হাসপাতালের এই হাল বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রশাসনকে।
