এডিএম সিং বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সাইফাই এলাকায় মদের দোকানগুলিতে তদারকি করতে গিয়েছিলেন। আলিগড়ে বিষমদ খেয়ে প্রায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ মাসের শুরুতেই। তার পরেই নড়চড়ে বসে প্রশাসন। এর জেরে বিভিন্ন মদের দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। এবং তার পরেই দোকানের বাইরে করোনার টিকা না নিলে, মদ মিলবে না এমন নির্দেশিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
তদারকি চালানোর সময়ই দোকানের বাইরে এডিএম এই নির্দেশিকার বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দোকানের মালিকদেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, কোনও ব্যক্তি টিকাকরণের সার্টিফিকেট দেখাতে না পারলে যেন মদ বিক্রি না করা হয়। দোকান মালিকরা অবশ্য সহকারী জেলাশাসকের কথায় রাজি হয়েছেন। এতে আরও বেশি করে টিকাকরণের উৎসাহ বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশে জুন মাসে এক কোটি মানুষের কোভিড টিকা নেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা কাজে লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও ইতাওয়াহর এক্সাইজ অফিসারদের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা এখনও জারি করা হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। এক্সাইজ অফিসার কমল কুমার শুক্লা বলেছেন, এমন কোনও অর্ডার তাঁদের কাছে এখনও এসে পৌঁছয়নি। তবে মদের বিক্রি বজায় রাখতে এবং একইসঙ্গে টিকাকরণে উৎসাহ দিতে প্রশাসনের এই নির্দেশিকা কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। ফলে এই নির্দেশিকা আপাতত বহাল রাখতেই বলা হয়েছে। ইতাওয়াহর এডিএমের এই নির্দেশিকা দেওয়ার কদিন আগেই ফিরোজাবাদের জেলাশাসক কোনও সরকারি কর্মী টিকা না নিলে তাঁর বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
