জেলা প্রশাসনের ইতিমধ্যেই বেসরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যাপারে বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন । সেখানে ধীরে ধীরে বাস চালানো স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন বাস মালিকরা । কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কোনও রুটেই বাস চলছে না ।
বর্ধমানকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয় । এই জেলার নানা প্রান্ত ও পার্শ্ববর্তী জেলারগুলির মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বেসরকারি বাস । কারণ এই জেলার মধ্যে বা আশপাশের জেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সরকারি বাস ততটা নেই । অন্য সময় বর্ধমান থেকে কাটোয়া, কালনা, দুর্গাপুর, আসানসোল, মেমারি, জামালপুর থেকে শুরু করে আরামবাগ, তারকেশ্বর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কল্যাণী, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, সিউড়ি, বোলপুরসহ বিভিন্ন রুটে পাঁচশোরও বেশি বেসরকারি বাস চলাচল করে । লকডাউনের শুরু থেকেই সেই সব বাস চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে । আনলক ওয়ানের হাত ধরে পয়লা জুন থেকে বেসরকারি বাস চলাচলের সবুজ সিগন্যাল মিললেও কার্যক্ষেত্রে এখনও কোনও বাসই পথে নামেনি ।
advertisement
বাস মালিকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ এখনও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । তার ফলে বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত । এলাকার বাইরে তাঁরা খুব একটা যাচ্ছেন না । শহর এলাকা বাদ দিলে গ্রামীণ এলাকাযল বাসিন্দাদের মধ্যে এখনই বাসে চড়ে বাইরে যাওয়ার তেমন কোন প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, তাই চালক কর্মীদের পারিশ্রমিক দিয়ে জ্বালানি তেলের খরচ সামলে বাস চালিয়ে লাভ হওয়া তো দূরের কথা, লোকসানের বহর বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । সে কারণেই বাস রাস্তায় নামাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অনেকেই ।
এদিকে, এমনিতেই স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ । সরকারি অফিসও সেভাবে খোলেনি । কাজ শুরু হয়নি আদালতে । চিকিৎসকরাও চেম্বারে বসছেন না স্বাভাবিক রুটিনে । সেসব কারণেই বাসিন্দাদের অন্যত্র যাওয়ার আগ্রহ হারিয়েছেন । পরিস্থিতি আরও কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাসিন্দারাও ঘর থেকে বাইরে বেরোবেন । তখন চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যাও বাড়বে ।
Saradindu Ghosh