এছাড়া প্রতিটি দফতরে একইদিনে উপস্থিত থাকা কর্মীর সংখ্যা বেঁধে দেওয়া ছাড়াও বসার ব্যবস্থা নিয়েও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় ৷
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
১) সম্পূর্ণ সুস্থ এবং করোনার কোনওরকম লক্ষণ নেই এমন কর্মীরাই অফিসে আসবেন৷ কোনও কর্মীর সামান্য জ্বর , সর্দি বা কাশি হলে তাঁকে আর অফিস আসতে হবে না ৷ প্রত্যেক কর্মী একদিন অন্তর অফিস আসবেন ৷
advertisement
২) কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দা যেসব সরকারি কর্মী তাদের এলাকা যতদিন না পর্যন্ত বিপদমুক্ত বা সি ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভু্ক্ত না হচ্ছে তাদের ওয়ার্ক ফর্ম হোমই করতে হবে ৷
৩) প্রতি সপ্তাহে সরকারি কর্মীদের রোস্টার বানানো হবে ৷১০ জনের বেশি কর্মী একই জায়গায় থাকতে পারবেন না ৷ একই টেবিলে বলা কর্মীদের মধ্যে অন্তত ২ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে ৷ এক টেবিলে ২ মিটার দূরত্ব রেখে ১০ জন কর্মীর বসার ব্যবস্থা না করা গেলে কর্মী সংখ্যা আরও কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ ৷ সেক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে হবে এমন নয় ৷
৪) ডেপুটি সেক্রেটারি পদের চেয়েও উঁচুতে কাজ করেন যে সব সরকারি কর্মী এবং যাদের নিজস্ব কেবিন অথবা আলাদা বসার জায়গা আছে তাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট সাধারণ সময়েই অফিস করতে হবে ৷
৫)রোস্টার ও অন্য কারণে যে সব অফিসার ও কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন, তাদের ই-অফিসের মাধ্যমে কাজ করতে হবে ৷ কারোর বাড়িতে এই সুবিধা না থাকলে সরকারি আইটি কর্মীদের সাহায্যে সেই ব্যবস্থা করতে হবে ৷
৬)অফিসে মাস্ক বাধ্যতামূলক ৷ বার বার সাবানে হাত ধোওয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ৷ কেউ মাস্ক না পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে ৷
৭) সরকারি অফিসে ভিজিটারদের বসার ব্যবস্থাও দূরত্ববিধি মেনে করতে হবে ৷
৮) অফিসে কর্মীদের ব্যবহারের জিনিস ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মাউস, মনিটর, কি-বোর্ড, এসি রিমোট ইত্যাদি নিয়ম মেনে নিজেদেরই স্যানিটাইজ করতে হবে ৷
৯) সবাই স্পর্শ করে এমন জায়গা ইলেকট্রিক সুইচ, দরজার হাতল, লিফটের সুইচ অন্তত ১৫ দিনে একবার স্যানিটাইজ করতেই হবে ৷
১০) মুখোমুখি বসে মিটিং বা আলোচনা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে ৷ ইন্টারকম, ফোন বা ভিডিও কনফারেন্সে সারতে হবে কাজ ৷
১১) লিফটে একসঙ্গে তিনজনের বেশি ব্যক্তি উঠতে পারবেন না ৷
Sourav Guha
