তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও করোনা আবহে, খুল্লমখুল্লা ঘুরতে দেখা গিয়েছে কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে৷ করোনা রুখতে সব নিয়মকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি ঘুরছেন মন্ত্রী মশাই!
২ জুন চিত্রদূর্গা জেলার একটি অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল মাস্ক ছাড়াই৷ একটি জনসমাগমে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি যেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি৷
সোমবারের এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু রাজনীতিক৷ দল নির্বিশেষে আমন্ত্রিত ছিলেন অনেক নেতা৷ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে প্রাক্তন মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে, বিজেপি নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মণ সবাদি, প্রভু চৌহ্বন৷
advertisement
করোনার সময় বিয়ে বাড়িতে যখন অতিথির সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তখন কী করে এত মানুষের সমাগমের অনুমতি দিল জেলা প্রশাসন? এখন এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ বিয়ের আসরে মোটে ৫০জনের জমায়াতের অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ সেই নিয়মও লঙ্ঘন করেছেন স্থানীয় বিধায়ক৷ যদিও এই নিয়ে কোনও অভিযোগ এখনও দায়ের হয়নি এবং পুলিশও স্বতঃপ্রণদিত মামলা করেনি৷
নিয়ম সকলের জন্য এক৷ কিন্তু গ্রামে মানুষেদের আটকানো সম্ভব নয়৷ তাঁদের বিয়েবাড়িতে চলে আসার প্রবণতা থাকে৷ আর শুভানুধ্যায়ীরা ঢুকলে, তাঁদের বাঁধাও দেওয়া যায় না৷ এভাবেই সাফাই দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া৷
উপমুখ্যমন্ত্রী যদিও বলছেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক কর্তৃপক্ষ, না হলে সকলের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে৷ আমি কোনও ভিডিও দেখিনি, জানিও না৷ কিন্তু এমন কিছু হলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ৷
তবে হাদাগলির বিধায়ক এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলছেন যে, তার বারণ করা সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ নবদম্পতিকে আর্শীবাদ করতে ভিড় করেছিলেন৷ তাদের আটকানো সম্ভব হয়নি৷
আমি গ্রামবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে হোয়াটস অ্যাপ ভিডিও পাঠিয়েছি৷ করোনার সময় সকলকে আমন্ত্রণ করতে পারব না, এটা সবাইকে জানিয়েছিলাম৷ তবুও সকলে চলে এসেছিল৷ মাস্ক-স্যানিটাইজার সব ছিল৷ পুলিশের থেকে নোটিশ পেয়েছি, খুবই দুঃখিত৷ বলছেন বিধায়ক৷ লকডাউনের জন্য মে মাস থেকে পিছিয়ে জুনে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল৷ কোনও মন্ডপ ভাড়া না পাওয়ার কারণ গ্রামেই ছেলের বিয়ে দিতে হয়েছে বলে জানায় পরিবার৷