সাধারণত এই প্যারেড দেখতে রাজপথের দু'ধারে লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকেন। কিন্তু নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে সংখ্যাটা কমিয়ে পঁচিশ হাজার করা হয়েছে। অন্য বছর যেখানে প্রায় চল্লিশটি বিশেষ ঘেরা জায়গা থাকে, এবার কমিয়ে সংখ্যাটা নামানো হয়েছে উনিশে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধান অতিথি হিসেবে। কিন্তু ব্রিটেনে নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ার কারণে ভারত সফর বাতিল করেন জনসন। তাই এবার আর কোনও প্রধান অতিথি থাকছেন না। বত্রিশটি ট্যাবলো অংশ নেবে অনুষ্ঠানে। এর রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে থাকবে সতেরোটি, মন্ত্রকের তরফে নয়টি, এবং ছয়টি সামরিক বাহিনীর ট্যাব লো অংশ নেবে প্যারেডে।
advertisement
সাধারণত অন্যান্য বছর লাল কেল্লা পর্যন্ত যায় এই ট্যাব লো। তবে পরিস্থিতি বিচার করে এবার তা থামিয়ে দেওয়া হবে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। এছাড়াও, পদযাত্রার দলগুলির আকার নিয়মিত ১৪৪ থেকে ৯৬ এ কমিয়ে আনা হয়েছে যাতে তাঁরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে।শুক্রবার দিল্লি সেনা নিবাসের একটি সাংস্কৃতিক শিবিরে বিভিন্ন রাজ্য, মন্ত্রনালয় এবং সরকারী বিভাগের ট্যাবলো সদস্যদের কোভিড -১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ দেখেই অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথমবার অংশ নেবে লাদাখ ট্যাবলো। ঐতিহ্যবাহী থিস্কে বৌদ্ধ মঠ তুলে ধরা হবে। এছাড়াও বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিশেষ ট্যাবলো থাকছে যেখানে দেখানো হবে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কীভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ প্রকল্প 'ভোকাল ফর লোকাল' তুলে ধরা হবে প্যারেডে।
উত্তর প্রদেশের ট্যাবলোতে রাম মন্দিরের আদলে তৈরি রেপ্লিকা ছাড়াও রামায়ণের বিভিন্ন অংশ তুলে ধরা হবে। পাঞ্জাবের ট্যাবলোতে স্থান পাবে শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের চারশোতম জন্মবার্ষিকী। গুজরাত ট্যাবলো দেখাবে গান্ধি নগরের কাছে মেহসান জেলায় মোধেরার প্রাচীন সূর্য মন্দির। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ব্যান্ডও এই কুচকাওয়াজে অংশ নেবে। এই বছর বাংলাদেশ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পালন করছে।