আর মাত্র এক মাস। গুনে গুনে তিরিশ দিন। এর মধ্যেই যা করার করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ভারতের পরিস্থিতি যাতে চিন বা ইতালির মতো না হয় তার জন্য আগামী ৩০ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ চতুর্থ বা পঞ্চম সপ্তাহেই ভয়াবহ ভাবে এই ভাইরাস সংক্রমণের নজির রয়েছে। ভারতে যাতে তা না হয় সেই লক্ষ্যেই দেশজুড়ে চরম সতর্কতা।ভারত এখন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ চিন, ইতালি, ইরানের মতো আক্রান্ত দেশ থেকে যাঁরা সংক্রমিত হয়ে ফিরেছেন তাঁদের থেকে এ দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে৷ ভারতে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ালেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলেই দাবি ৷ কিন্তু সংক্রমণের হার যাতে এখানেই আটকানো যায় তার জন্য ব্যাপক সতর্কতা জরুরি, বিশেষজ্ঞরা যাকে বলেন ‘ফ্ল্যাটনিং দ্য কার্ভ’।
advertisement
আমরা সেকেন্ড স্টেজে আছি....আরও বেশি ল্যাবে যাতে পরীক্ষা করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে ৷ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চারটি ধাপ , প্রথম ধাপে সংক্রমণ একটি দেশেই সীমাবদ্ধ ভারত দ্বিতীয় ধাপে। দ্বিতীয় ধাপে অন্য দেশ থেকে আসা আক্রান্তদের থেকে স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণ তৃতীয় ধাপে রোগ যখন কোনও সম্প্রদায় বা বড় কোনও এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্রান্স এই তৃতীয় ধাপে। রোগ মহামারীর চেহারা নিলে এবং সংকট চরমে উঠলে সেটা চতুর্থ ধাপ। চিন ও ইতালি এই চতুর্থ ধাপে।
ইতালিতে দেখা গিয়েছে অতি দ্রুত হারে সংক্রমণ বেড়েছে।
প্রথম সপ্তাহে আক্রান্ত হন ৩ জন
পরের সপ্তাহেই ১৫২
তার পরের সপ্তাহে ১ হাজার ৩৬
চতুর্থ সপ্তাহে ৬ হাজার ৩৬২
পঞ্চম সপ্তাহে ২৭ হাজার ৯৮০
আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফে এই লম্বা লাফ আটকানোর নামই ‘ফ্ল্যাটনিং দ্য কার্ভ’। সেটাই করতে চাইছে ভারত। লক্ষ্য এক বছরে এক লক্ষ আক্রান্ত হতে পারে কিন্তু এক মাসে যেন এক লক্ষ আক্রান্ত না হন কারণ তেমন হলে দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামোয় অত রোগী সামলানো যাবে না
যেমনটা ঘটেছে ইতালিতে ৷