সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে করোনার তৃতীয় ঢেউ কোনওভাবে আছড়ে না পড়তে পারে৷ এর জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি টিকাকরণ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং করোনা রুখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি যাতে মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনার পাশাপাশি এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়েও আলোচনা হয় বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, বৈঠকে মোদি বলেন, 'যে প্রকল্পই হাতে নেওয়া হোক না কেন সেগুলি যাতে যথাযথ ভাবে শেষ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷'
advertisement
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিভিন্ন মন্ত্রকের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির পূর্ণ মন্ত্রী এবং প্রতি মন্ত্রীদের আলাদা আলাদা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী৷ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই এই বৈঠকগুলি হয়েছিল৷ অধিকাংশ বৈঠকেই হাজির ছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা৷
দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে এখনও মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে আপত্তির খবর আসছে৷ নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা থেকে তৈরি হওয়া আশঙ্কাই এর মূল কারণ৷ ভ্যাকসিন নিয়ে এই সংশয় দূর করতেই গত রবিবার মন কী বাত অনুষ্ঠানে নিজের মায়ের উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী৷ একশো বছরের কাছাকাছি বয়স হলেও ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজই নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মা হিরাবেন মোদি৷ নিজের মায়ের উদাহরণ দিয়ে মানুষকে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের উপরে আস্থা রাখতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী৷