ভারতে টিকাকরণ অভিযানের শুরুতে অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ থাকলেও পরে মানুষ নিশ্চিন্ত মনে টিকা নিয়েছেন বলে ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)৷ তাঁর মতে, মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে ভয় এবং বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা হওয়া সত্ত্বেও একশো কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে৷ তার জন্য মানুষকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
একশো কোটি টিকাকরণ (100 crore vaccination) নিয়ে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ভারতের ক্ষমতা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিল৷ কিন্তু ৯ মাসের মধ্যেই একশো কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত৷ একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের মতো টিকাকরণ অভিযানেও কোনও ভিআইপি সংস্কৃতি নেই৷
advertisement
আরও পড়ুন: একশো কোটি টিকাদানের আনন্দসন্ধ্যায় আলোর মালায় সাজল হাওড়া ব্রিজ Pics
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টিকাকরণের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী চাপ তৈরি করেছিল৷ কিন্তু তাতে আমল দেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করার জন্য ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং উদ্যোগপতিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি৷
পুণে এবং হায়দ্রাবাদের প্ল্যান্টে ভ্যাকসিন উৎপাদন থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কঠিন চ্যালেঞ্জকে জয় করতে হয়েছে, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে তার কোনও নজির নেই বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী৷
নয়াদিল্লির এইমস-এর একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, '২১ অক্টোবর,২০২১, দিনটি ইতিহাসে লেখা থাকবে৷ কিছুক্ষণ আগেই ভারত একশো কোটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে৷ গত একশো বছরের সবথেকে বড় অতিমারির মোকাবিলায় ভারতের কাছে একশো কোটির ডোজের রক্ষাকবচ রয়েছে৷ এই সাফল্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের৷'
কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব অনুযায়ী, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তিন ভাগেরই অন্তত টিকার একটি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ দেশের জনসংখ্যার মোট তিরিশ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজই পেয়েছেন৷ ভারতের থেকে একমাত্র চিন বেশি টিকাকরণ করতে পেরেছে৷ ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষকেই টিকা দিতে পেরেছে চিন৷
