এক জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নাগপুরের ওই বাসিন্দা পেশায় ফল বিক্রেতা। গত বুধবার তিনি মদ্যপ অবস্থায় একটি দুর্ঘটনা ঘটান। তাকে মায়ো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেন চিকিৎসকরা। বাড়ি ফেরার সময়ে তিনি একটি পিপিই কিট তুলে আনেন হাসপাতাল থেকে। তিনি অবশ্য ভেবেছিলেন ওটা রেনকোট।
কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার থেকে ওই পিপিই কিট নিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তিনি স্বীকারও করে নেন যে তিনি এই পিপিই কিট চুরি করেছেন। এরপরেই তার করোনা পরীক্ষা হয়। দেখা যায়, সন্দেহই সত্যি হয়েছে।তিনি করোনা আক্রান্ত।
advertisement
ওই ব্যক্তি ওই পিপিই কিট গায়ে দিয়ে যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করে লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের অবশ্য করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
প্রসঙ্গত, গোটা মহারাষ্ট্রই এখন যেন বারুদের স্তুপের উপর বসে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সব মিলে আক্রান্ত দেড় লক্ষেরও বেশি। এ যাবৎ মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার জনের। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীনতা দেখালে তাঁর মাশুল গুণতে হবে আরও বহু মানুষকে, তা বলাই বাহুল্য।
