মিউজিক থেরাপি (Music Therapy) এখন ভীষণ ভাবে জনপ্রিয়। মুমূর্ষু রোগী থেকে শুরু করে স্ট্রেস সর্বত্রই প্রয়োগ রয়েছে মিউজিকের। মার্কিন মুলুকে যেমন সকলেই সপ্তাহে ৩২ ঘন্টা গান শুনে কাটান। কাজের ফাঁকে অন্তত ৩০ মিনিট তাঁরা রাখেনই গান শোনার জন্য। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত গান যেভাবে সমাজে ইতিবাচকতা তৈরি করে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আর কোনও কিছুই তার ধারপাশ দিয়েও যায় না। যে কারণে একজন ভালো মানুষ গড়ে তুলতেও মিউজিকের যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। যে কারণে ছোট থেকে সংগীত বা কোনও যন্ত্রসংগীতের চর্চা এতটা গুরুত্বপূর্ণ কোনও মানুষের জীবনে। জীবনে প্রকৃত ভালো মানুষ হয়ে উঠতে অনেকগুলো গুণের প্রয়োজন হয়। আর এক্ষেত্রে গান যেভাবে সাহায্য করে।
advertisement
গান মন ভালো রাখে- ভালো মানুষ হয়ে উঠতে গেলে মন ভালো রাখাও কিন্তু ভীষণ জরুরি। গান আমাদের মন ভালো রাখে। জীবনের যে কোনও সময় মন ভালো রাখার একমাত্র ওষুধ হল গান। আর সেই সঙ্গে পজিটিভ থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মানুষ হতে গেলে উদারমনস্ক হওয়া দরকার।
সহানুভূতি গড়ে তোলে- মানুষ হিসেবে সবার মধ্যেই সহানুভূতি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু এখন যান্ত্রিক জীবনের চাপে সে সবই হারিয়ে যাচ্ছে। নিজের মধ্যে সহানুভূতি না থাকলে অন্যের মন কিন্তু সহজে বোঝা যায় না। গানের কথা, ছন্দ, সুর সেই সহানুভূতিই আমাদের মধ্যে গড়ে তোলে।
দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে- গানের মাধ্যমে গড়ে ওঠে সামাজিক কর্ত্যবোধ। ভাল মানুষ হতে গেলে দায়িত্ববোধও প্রয়োজন। গান কিন্তু সেই কাজ করে। আমাদের কোথাও গিয়ে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। হাতে হাত রেখে কাজ করার শক্তি দেয়।
ব্যবহারে পরিবর্তন আসে- গান আমাদের ব্যবহারেও পরিবর্তন আনে। করোনাকালের লকডাউনে বেশিরভাগ সময় জিম বন্ধ। বা যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত। এই অবস্থায় সকালে উঠে অনেকেই শরীরচর্চা করেন মিউজিক শুনতে শুনতে। আর এতে কিন্তু মন ভাল থাকে। স্নায়ুর চাপ কমে। মাথা ঠান্ডা রাখে, সব দিক থেকে ভাল থাকা যায়।
যোগাযোগ বাড়ায়- যোযাযোগের অন্যতম মাধ্যম কিন্তু হল গান, মিউজিক। গান শোনায় এক একজনের পছন্দ এক একরকম। কিন্তু তাও কোথাও একটা যোগ থাকে। প্রেমের শুরু বন্ধুত্বের শুরু হয় এই গান দিয়েই। শুধু তাই নয় এই গান অথবা যেকোনও ধরণের মিউজিক তা সে যে দেশের সৃষ্টি হোক না কেন ছুঁয়ে দেয় সহস্র মাইল দূরের কোনও মনকে। আর সেই ভাবেও শারীরিক বা সামাজিক দূরত্বের এই সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে ওঠে মিউজিক।