জানা গিয়েছে, কন্যাকুমারী থেকে ডিব্রুগড়ে পৌঁছনো এই ট্রেনটিতে বেশিরভাগই ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। তাতে শিশু ও মহিলারাও ছিলেন। বিবেক এক্সপ্রেসে তাঁরা সোমবারই পৌঁছলেন অসমে। তামিলনাড়ু থেকে রওনা দেওয়া এই ট্রেনটি কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে পাঁচদিনে অসমে পৌঁছলো। তার পরেও কী ভাবে যাত্রীদের মধ্যে এতটা বেররোয়া ভাব? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। অসমের যে কোনও স্টেশনে ট্রেন পৌঁছলে কোভিড ১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার পরেও এভাবে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে গেলেন কত শত যাত্রী।
advertisement
সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে জাগি রোড স্টেশনে। কোভিড ১৯-এর পরীক্ষাকে ফাঁকি দিয়ে শয়ে শয়ে যাত্রীদের পা চালানোর ভিডিও আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে পুলিশ এবং রেলকর্তারা থাকার পরেও কী ভাবে যাত্রীরা বেরিয়ে গেলেন, তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
গত বছরও বিহারে একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। বক্সারের এক স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে কার্যত পালিয়ে যাচ্ছেন করোনা পরীক্ষা করানোর ভয়ে। অসমে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার নতুন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩.৬৫ লক্ষ। একদিকে ৮০ জনের মৃত্যুও হয়েছে অসমে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা ২,৬৬৭ জন।
