প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ২৬ বছরের বরের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের নানা উপসর্গ ছিল। তারপরেও ১৫ জুন বিয়ের আসরে উপস্থিত হন তিনি। আর তাতেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। ১৭ জুন মারা যান খোদ বর। শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিয়েবাড়ি এবং সৎকারের সময় উপস্থিত থাকায় ১১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। পাটনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজ কিশোর চৌধুরী জানিয়েছেন, বিয়েবাড়ি এবং অন্তিম যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ৪০০ জন। তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিদের লালারসের নমুনা পাঠান হয়েছে পরীক্ষার জন্য। তবে সকলকেই আলাদা করে রাখা হয়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের দাবি, দিল্লি ফেরত সংক্রামিত হয়ে মৃত বর'ই ভাইরাসের মূল বাহক।
advertisement
দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরে ১৫ জুনে বিয়ে করেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র পাত্র৷ আর বিয়ের ২ দিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ বাড়ি ফেরার পড়ে তাঁর শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ ছিল। পেটে ব্যাথা হচ্ছিল তাঁর। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তিও করান। কিন্তু বিয়ে এগিয়ে আসায়, তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । তারপরেই বসে বিয়ের আসর। বিয়েতে ৩০০ অতিথি নিমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন। বিয়ের ঠিক দু'দিন পর মারা যান বর। প্রশাসনের দাবি, যুবকের অন্তম যাত্রাতেও ২০০ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। ফলে সেখান থেকেও সংক্রমণে ছড়ায়।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, কনে-সহ বরপক্ষের কারও রিপোর্ট পজেটিভ নয়। এ দিকে, প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মহামারী আইন লঙ্ঘন করে কীভাবে এবং কেন এত মানুষ বিবাহ এবং সৎকারে যোগ দিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।