সেবক পাহাড়ের বাঁদরের বাঁদরামির কথা কারও অজানা নয়! গাড়ি দেখলেই লাফিয়ে বনেডে উঠে পড়া, জানলা দিয়ে খাবারের প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়া- তাদের প্রতিদিনের কাহিনী। অনেকেই তাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতেন। আবার অনেকেই ভয়ে সিঁটিয়ে যেতেন। এখন কঠিন সময়ের মধ্যে গোটা দেশ। লকডাউনে রাস্তায় দেখা নেই মানুষের। বন্ধ পর্যটন ব্যবসা। পর্যটক এবং বাস যাত্রীদের ছোঁড়া খাবার ছিল বাঁদরের প্রতিদিনের রসদ। টানা লকডাউন চলায় খাদ্য সংকটে পড়েছে বাঁদরবাহিনী। বন্ধ বাঁদরামি।
advertisement
তারা এখন খাবারের খোঁজে ব্যস্ত। কিছু বাঁদর জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে অধিকাংশ বাঁদরই রয়েছে করোনেশন সেতু এবং লাগোয়া ১০ ও ৩১ নং জাতীয় সড়কে। শিলিগুড়ি এবং ডুয়ার্সের কিছু সাধারন মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এগিয়ে এসছেন। লকডাউনের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে আসছেন সেবক পাহাড়ের কোলে। বাঁদরবাহিনীর জন্যে খাবার নিয়ে। কেউ টমেটো নিয়ে হাজির হচ্ছে। ক্রমেই যেখানে স্বাদ বদলাচ্ছিল বাঁদরের। মোমো, চিপস-সহ রকমারি ফাস্টফুড তাদের প্রিয় হয়ে উঠছিল। এখন লকডাউনের সময়ে সেই কলা, তরমুজ, টমেটোতে ফিরে এসেছে বাঁদরবাহিনী।
আজ শিলিগুড়ির 'সৃষ্টি' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা পৌঁছন সেবকে। সঙ্গে কলা আর তরমুজের ডালি নিয়ে। দেড় হাজার জাহাজী কলা আর এক কুইন্টাল তরমুজ। নিজেরাই আদর করে খাওয়ান বাঁদরদের। কোথায় বাঁদরামি! খাবারের অভাবে আজ শান্ত ওরাও! সংগঠনের সদস্য গৌতম গোস্বামী জানান, অন্যরাও এগিয়ে এলে ওরা অভুক্ত থাকবে না।
Partha Sarkar