নতুন মন্ত্রিসভার এই ঘোষণা থেকে পরিষ্কার, করোনার মোকাবিলাকেই অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM NarendraModi)। এই নয়া প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে ইস্তফা দেন পূর্বতন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এরপরই বিকেলে শপথ নেন মনসুখ। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশে করোনা সংকটের মোকাবিলার ব্যর্থতার অভিযোগই হর্ষ বর্ধনকে সরিয়ে দেওয়ার প্রধান কারণ।
advertisement
যদিও দেশের করোনা পরিসংখ্যান লাগাতার স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঘরাফেরা করছে ৫০ হাজারের নিচে। টানা নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও। তবে, বৃহস্পতিবার সংক্রমণ খানিকটা বাড়লেও উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবুও সামগ্রিক ভাবে পরিসংখ্যান কিন্তু একটা করুণ ছবিও তুলে ধরছে। দেশে এপর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ভারতের থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে কেবল ব্রাজিল ও আমেরিকায়।
গত এপ্রিল মাসেই দেশে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ। তারপর অক্সিজেনের ঘাটতি ও হাসপাতালে বেডের অভাবের ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। যার ফলে প্রবল সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল মোদি সরকারকে। শুধু করোনা ভাইরাস অতিমারীই নয়, অর্থনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সম্ভবত এরই রেশ ধরেই স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্বালানী তেলের নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করেন বুধবারই। এদিন সন্ধ্যায় মোট ৭৭ জন মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়ে, যার মধ্যে ৩০ জন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, সরকারের কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল হর্ষ বর্ধনকে, যে কারণে তাঁকে এবং তাঁর অধীনস্ত কর্মকর্তাদের সরে যেতে বলা হয়।