গতকালই রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে ১২ সদস্যের প্রশাসক মণ্ডলী। যার চেয়ারম্যান করা হয় বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে। প্রশাসিক মণ্ডলীতে বামেদের ৭ এবং তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলরকে। এতেই আপত্তি জানায় বামেরা। চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখান করে পুরমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান। রাজ্যের অন্য পুরসভায় বিরোধীদের রাখা হয়নি। তাহলে শিলিগুড়ির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ কেন? প্রশ্ন তোলেন অশোক ভট্টাচার্য। অবিলম্বে নির্দেশিকা বাতিল করার দাবীও জানান।
advertisement
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নির্দেশিকায় পরিবর্তন আনে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। প্রশাসক মণ্ডলী থেকে বাইরে রাখা হয় বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, দুই বরো চেয়ারম্যান সহ ৫ জনকেই। অশোক ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে ৭ সদস্যের প্রশাসক মণ্ডলী গঠন করে। রয়েছে ডেপুটি মেয়র সহ মেয়র পারিষদ সদস্যরা। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। রাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। বিরোধীদেরও সহযোগিতা চাই। বললেন অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবী, রাজ্যজুড়ে জনমত গঠন হওয়ায় রাজ্য দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। অন্যদিকে, রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, শিলিগুড়ির মানুষের স্বার্থেই তৃণমূল কাউন্সিলররা সরে এসছে। আমরা সবসময়ই সহযোগিতা করব। আর রাতারাতি জনমত গঠন হয় না। উনি আইনস্টাইনের দ্বিতীয় সংস্করণ।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বামেরা ভালো কাজ করবে, এমনটাই আশা করছি। উনি এখন আর নির্বাচিত প্রতিনিধি নন। রাজ্য সরকারের নিয়োজিত প্রতিনিধি। আগামী সোমবার দায়িত্ব নেবেন অশোক ভট্টাচার্য। ভালোভাবে পুরসভা চালানোই এখন দায়িত্ব আমাদের। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ। তা পালন করতে হবে।
Partha Pratim Sarkar