জানা যায়, মৃত নাগলক্ষী নামের ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী রেলস্টেশনের কাছেই একটি ঝুপড়িতে থাকতেন। ভিক্ষাবৃত্তি করেই তাঁরা দিন গুজরান করতেন। এই পর্যন্ত তো সব ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু বিপত্তি বাঁধল নাগলক্ষীর আচমকা মৃত্যু হলে। উল্লেখ্য যে বেশ কয়েকদিন দিন থেকেই তাঁর স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় পারেননি স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন কি না তাও পরীক্ষা করতে পারেননি। আর এ সবের মধ্যেই রবিবার মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন নাগলক্ষী। যদিও এর পর রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে শেষকৃত্যের জন্য আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হয় মৃত নাগলক্ষীর স্বামীকে। কিন্তু তার পরেও স্ত্রীকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। কারণ ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় ছড়িয়ে যায় যে করোনায় আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। তাই বেশ কয়েকঘন্টা অপেক্ষা করলেও পারেননি গাড়ির ব্যবস্থা করতে।
advertisement
ফলে অবশেষে উপায় না পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে হাঁটাপথেই শ্মশানে পৌঁছন ওই ব্যক্তি এবং স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ঘটনার এই ভিডিও ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তারপরেই সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন শোরগোল পড়েছে, তেমনই আবার বিভিন্ন মহলে তেলঙ্গানা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অন্য দিকে, তেলঙ্গানায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০, ১২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। আর মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৪ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ২,০৯৪। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নাইট কারফিউ জারি করা হয়। রাত্রি ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকছে এই নিষেধাজ্ঞা। এই নাইট কারফিউ আগামী ১ তারিখ ভোর পর্যন্ত জারি থাকবে।