TRENDING:

করোনার জীবনদায়ী ইঞ্জেকশান চুরির অভিযোগে রাজনীতি নয়, মমতা চাইছেন ব্যবস্থা

Last Updated:

অভিযোগকারীদের বক্তব্য এই ২৬ টি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশান পরিকল্পনামাফিক ভাবে, শিশু বিভাগের দায়িত্বে থাকা সিস্টারকে বোকা বানিয়ে গায়েব করা হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ২৬টি টোসিলিজুম্যাব ইঞ্জেকশন চুরি নিয়ে হইচই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আইএনটিটিইউসি সেবা দলের পক্ষ থেকে বুধবারই  এই ঘটনা নিয়ে বউবাজার থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, এই ২৬ টি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশান পরিকল্পনামাফিক ভাবে, শিশু বিভাগের দায়িত্বে থাকা সিস্টারকে বোকা বানিয়ে গায়েব করা হয়েছে। তারা চাইছেন এই দুর্নীতির যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
advertisement

বিষয়টি কানে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। বুধবারের বৈঠকে তিনি বলছেন, বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ, তারাই দেখবে। মেডিকেল কলেজ নিজের বিষয়টি ভালো বোঝে। তারা নিজেরা বিষয়টি দেখবে, আমি কোনও রাজনৈতিক অবস্থান নেবো না। মেডিকেল কলেজের হাতে আইনত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়াই আছে। তাঁরাই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এই বিষয় নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষও। অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এই এনকোয়ারি কমিটি ইতিমধ্যেই দুবার বসেছে। প্রথমবার কী ভাবে তদন্ত হবে তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছে। তার পরের বার বিষয়টি যাচাই করা হয়েছে। খুব শিগগিরই কমিটি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।

advertisement

সূত্রের খবর মেডিক্যাল কলেজের এই তদন্ত কমিটিতে ৭ জন সদস্য রয়েছেন। রয়েছেন ফার্মাকোলজি ফরেনসিক-সহ নানা বিভাগের চিকিৎসকরা এবং নার্সিং বিভাগের অধিকারিকরা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মন্থা আছড়েছিল অন্ধ্রে, নাকানিচোবানি খেল দিঘা, নাগাড়ে বৃষ্টি, তোলপাড় করা দিঘার ঢেউ
আরও দেখুন

উল্লেখ্য টোসিলিজুমাব কোনও সাধারণ ইঞ্জেকশান নয়। করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এটিকে জীবনদায়ীই বলা চলে। রোগীর শরীরে সাইটোকাইনিনের ঝড় দেখা দিলে এই ইঞ্জেকশান ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা। এক কথায় বললে, করোনা রোগীর শরীরে যে ইনফ্ল্যামেশান বা প্রদাহ তৈরি হয়, কোষে কোষে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরির বার্তা পৌঁছে দেয় টোসিলিজুমাব। ফলে এই মুহূর্তে এক কথায় তা মহার্ঘ্য। দামও প্রচুর টোসিলিজুমাবের। এক একটি টোসিলিজুমাবের বর্তমান বাজারমূল্য ৫০-৫৬ হাজার টাকা। কালোবাজারে এই ইঞ্জেকশান দুই আড়াই লক্ষ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া ইঞ্জেকশনের বাজারমূল্য কম করে ১০ লক্ষ টাকা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
করোনার জীবনদায়ী ইঞ্জেকশান চুরির অভিযোগে রাজনীতি নয়, মমতা চাইছেন ব্যবস্থা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল