ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর বিধ্বস্ত বাংলাকে ফের স্বাভাবিক করতে কাজে নেমেছিলেন যে কর্মীরা, সেই আমফান যোদ্ধাদের সঙ্গে সঙ্গে মারণ ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, মানুষের সেবায় নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার জন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সহ সমস্ত করোনা যোদ্ধাদের ট্যুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি লেখেন, ‘‘ত্রাণকর্মী, পুলিশ, স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সবাই, সিভিল সোসাইটি ও সমাজসেবী সংগঠন— সবাইকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। করোনা এখনও যায়নি ৷ তাই সবাই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে থাকুন ৷’’ একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলার ঐতিহ্য ও অদম্য প্রাণশক্তি ( spirit) ৷ তাই নিয়েই আমরা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া অতিমারির মোকাবিলা করেছি। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই বাংলা আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হবে।’’
advertisement
শুক্রবার আরও একবার রাজ্যবাসীকে সতর্ক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ৷ সরকারি কর্মীদের নিশ্চিন্ত করতে শুক্রবার ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেরি করলেও কর্মচারীদের লেট মার্ক দেওয়া যাবে না ৷ এই মর্মে সরকারের সমস্ত অফিস ও দফতরকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ৷
যানবাহনের সমস্যায় নাজেহাল অফিসযাত্রীরা ৷ রাস্তায় কম বাসের সংখ্যা ৷ অফিস পৌঁছনোর তাড়নায় সামাজিক দূরত্ব ভুলে সেই বাসেই ভিড় করছেন যাত্রীরা ৷ অসুবিধার কথা বুঝে সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর ৷ একইসঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, যাতে কর্মীদের হাজিরার বা রিপোর্টিংয়ের সময় শিথিল করা হয় ৷ যতটা সম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধও প্রাইভেট অফিগুলির কাছে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন ট্যুইটে তিনি লেখেন- ‘অতিরিক্ত ভিড় বাসে উঠবেন না। বেসরকারি সংস্থাগুলি যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ চালানোর চেষ্টা করুন। অফিসে হাজিরার সময়ের ক্ষেত্রে ছাড় দিন। আমরা সরকারি অফিসে কাউকে লেট মার্ক না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না এবং সবাই মাস্ক পরুন। নিরাপদ থাকুন।’