এমনিতে বর্ধমান শহরে বিগ বাজেটের পুজোর সংখ্যা কম নয়। শহর জুড়ে বেশ কয়েকটি বিশাল বাজেটের পুজো হয়ে থাকে। বর্ধমানের পুজো দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা তো বটেই পাশের বাঁকুড়া,বীরভূম,হুগলি জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও বহু দর্শনার্থী ভিড় করেন। এবার করোনার পরিস্থিতির কারণে বাজেট কমছে পুজোগুলির। পুজোর উদ্যোক্তারা বলছেন, এবার পুজোয় স্পনসর নেই। এমনিতে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে যেটুকু আদায় হয় তাতে বিশেষ কিছু খরচ ওঠেনা। যাবতীয় খরচের বেশিরভাগটাই যোগান দেয় বিজ্ঞাপনদাতারা। তাদের বিজ্ঞাপনের গেট, ব্যানার থেকেই মোটা টাকা আসে।
advertisement
কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজার মন্দা হওয়ায় বেশিরভাগ সংস্থাই বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাই পুজোর বাজেট এবারের মতো অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে। অন্যান্যবার যেখানে এক একটি পুজো কমিটি পঁচিশ তিরিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতো, এবার সেখানে তাদের বাজেট পাঁচ লক্ষ টাকারও কম। সেই টাকাতেই মন্ডপ, প্রতিমা, আলোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সে কারণে বাজেট কমছে সবক্ষেত্রেই। বড় প্রতিমার বদলে দশ ফুট উচ্চতার প্রতিমাতেই এবার সন্তুষ্ট থাকছেন উদ্যোক্তারা। অনেকে একচালার প্রতিমার অর্ডার দিচ্ছেন।
প্রতিমা শিল্পীরা বলছেন, অনেকেই পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতিমার বায়না করতেও আসছেন তারা। তবে তাদের বাজেট এবার অনেকটাই কম। অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বাস-ট্রেন না চলায় স্থানীয় বাজার থেকে বেশী দামে সরঞ্জাম কিনতে হচ্ছে। তার ওপর পুজো কমিটিরগুলি বাজেট কমানোয় আয় বিশেষ থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
Saradindu Ghosh