পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ মার্চ দিল্লি থেকে ফেরেন খুরদার ভুজৌলির বাসিন্দা সেরাজ আহমেদ। বাইরে থেকে গ্রামে ফেরায় তাই তাঁকে নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেইমতই গ্রামে ফেরার পর থেকে তিনি গ্রাম সংলগ্ন একটি প্রাথমিক স্কুলে তৈরি হওয়া কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সেই সেন্টারে আহমেদ ছাড়াও আরও চারজন রয়েছেন। সেখানেই তাঁদের খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার রান্নার লোক না আসায় গ্রাম প্রধান লীলাবতী দেবী নিজে হাতে রান্না করেন অভুক্ত মানুষগুলোর মুখে খাবার তুলে দেবেন বলে। কিন্তু খাবার দেওয়ার সময়ই চরম অপমানিত হন তিনি।
advertisement
পুলিশকে লীলাবতী দেবী জানিয়েছেন, আহমেদ জানায় তিনি দলিত সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাঁর হাতের রান্না তিনি খাবেন না। এরপরেই অপমানিত গ্রাম প্রধান সাব ডিভিশনাল ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট দেশদীপক সিং এবং ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার রামকান্তকে পুরো বিষয় জানান। এরপর রবিবার লীলাবতী দেবী পুলিশের কাছে আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
খাদ্দা থানার হাউজ অফিসার আরকে যাদব বলেন, সংখ্যালঘু আইনে আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এদিকে, এলাকার বিজেপি বিধায়ক বিজয় দুবে ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই লীলাবতী দেবীর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁকে খাবার পরিবেশনের জন্য অনুরোধ করেন। পরে বিধায়ক জানান, অস্পৃশ্যতা সমাজের কলুষতা। তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।