রীতিমতো ছন্দ মিলিয়ে এই লিফলেটে বারাসতের জন্য আরও ভাল কাউকে পুরপ্রধান পদে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়েছে। বারাসতের বর্তমান পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়। উপ পুরপ্রধান পদে রয়েছেন অশনি মুখোপাধ্যায়। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে লিফলেটে লেখা হয়েছে, 'স' এবং 'অ'-এর বদলে বারাসতে নতুন পুরপ্রধান পদে নতুন কাউকে চাই। 'স' এবং 'অ'-এর মাধ্যমে যথাক্রমে সুনীল এবং অশনিবাবুর দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
advertisement
কয়েকদিন আগে প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ চক্রবর্তীকে আবার চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চেয়ে নাগরিক মঞ্চের নামে ব্যানার পড়েছিল। একদা সিপিএমের এই দাপুটে নেতা পরিবর্তনের সরকার আসার পর একপ্রকার রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছিলেন। সিপিএমের অন্দরমহলের খবর, পার্টির সাধারণ সদস্য পদটিও তিনি নবীকরণ করেননি বেশ কয়েক বছর।তারপরও তাঁকে চেয়ারম্যান পদে চেয়ে বিক্ষুব্ধ সিপিএম কর্মীরাই নাগরিক মঞ্চের নামে প্রচার চালিয়েছে বলে খবর।
এরই মধ্যে নতুন চেয়ারম্যান চেয়ে লিফলেট বিলি তৃণমুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের বারাসত সংসদীয় জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, 'এই লিফলেট প্রমাণ করে বারাসতে কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই তৃণমুল বাঁচাতে তৃণমুলের বিক্ষুব্ধ অংশ এই লিফলেট বিলি করে চলেছে।' তাঁর আরও দাবি, বারাসতে পুরসভায় এবার বিজেপি-ই ক্ষমতায় আসবে।
বারাসত পুরসভার উপপুরপ্রধান ও বারাসাত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, 'রাজনৈতিক ভাবে বিকারগ্রস্তরাই এই লিফলেট বিলি করছে। এতে কোনও লাভ হবে না। তাঁর দাবি, চেয়ারম্যান কে হবেন সেটা দল ঠিক করে। সাধারণ মানুষ তা ঠিক করেন না। ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচন করে সাধারণ মানুষ। দল যাঁকে মনে করবে সেই পুরপ্রধান বা অন্য দায়িত্ব পাবেন।' অন্য দিকে বারাসlsj পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'নামবিহীন লিফলেট বিলি করে অগণতান্ত্রিক কাজ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো গোটা শহর জুড়ে উন্নয়নের কাজ হয়েছে।এই লিফলেট বিলি করে সেই উন্নয়নকে কারা থামাতে চাইছেন, সাধারণ মানুষই তা খুঁজে বের করুন।'