TRENDING:

ডিমের আকাল বাড়বে বাংলায়, করোনার জেরে জোগান কম!

Last Updated:

শুক্রবার থেকে ডিম বাজারে কতটা আসবে এবং দাম কি হবে ? সেটা নিয়ে এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজল দত্ত যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বৃহস্পতিবারটা কোনও ভাবে কেটে গেছে। শিয়ালদহ বৈঠকখানা ডিম পট্টিতে ডিমের গাড়ি যা এসেছিল, সকাল ন'টার মধ্যে সব শেষ। অনেকেই হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ডিম কেনার জন্য। বাজারে অমিল ডিম। কয়েকদিন আগে খুচরো ডিম বিক্রি হয়েছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে। এখন সাড়ে পাঁচ টাকা থেকে ছয় টাকায় বিক্রি হচ্ছে একটি ডিম।
advertisement

সবে গরম পড়েছে৷ এত তাড়াতাড়ি ডিমের আকাল হওয়ার কথা নয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য সারা ভারতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণে ডিম আসছে কিছুটা কম। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে আমিষাশী মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই  মাছ, মাংসের থেকে ডিমের আগ্রহ বেড়েছে মানুষের। যার কারণে ডিমের চাহিদাটাও বেড়েছে।

গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলে ডিমের চাহিদা থাকে। অন্যান্য গ্রীষ্মপ্রধান রাজ্যে ডিমের চাহিদা একেবারেই কমে যায়। তবু এই মুহূর্তে ডিমের জোগান বাজারে অনেক কম।  বৃহস্পতিবার একটি ডিমের দাম পাইকারি বাজারে চার টাকা করে বিক্রি হয়েছে। সেই ডিম খুচরা বিক্রি হয়েছে ছ' টাকায়।

advertisement

শুক্রবার থেকে ডিম বাজারে কতটা আসবে এবং দাম কি হবে ? সেটা নিয়ে এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজল দত্ত যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  কাজল বাবুর বক্তব্য, লকডাউন থাকার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, রাস্তায় কাউকে দেখলেই গুলি করতে। সেই ভয়ে কেউ সহজে বাড়ি থেকে বেরোতে চাইছে না। যাঁরা লরি চালান , সেই ড্রাইভার খালাসি কিংবা লোডিং আনলোডিংয়ের শ্রমিকরা ভয়ে কাজে আসছেন না। ট

advertisement

যদিও সরকার থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর ছাড় রয়েছে, তবুও বাইরে বেরোলেই পুলিশি হয়রানি এবং লাঠিপেটা ,সারা দেশ জুড়েই চলছে। যার ফলে ডিমের গাড়ি নাও আসতে পারে কিংবা কম আসতে পারে ,কলকাতায় ও এ রাজ্যে।    ডিম যোগান কম একটাই কারণ, করোনা ভাইরাস   সংক্রমণের প্রচার সোশ্যাল মাধ্যমগুলোতে খুব পরিমাণে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মুরগির মাংস এবং ডিম খেলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে সবাই এই গুজব ছড়ানো হয়। মানুষ মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেয় সঙ্গে ডিমও।     বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মুরগির পোল্ট্রি ফার্ম ও হেচারি গুলো। এমনও দেখা গেছে ১০০ টাকায় পাঁচটি মুরগি বিক্রি হয়েছে মাইকে ঘোষণা করে।      একটি মুরগির ডিম প্রজনন করাতে গেলে পোল্ট্রি মালিকের ২ টাকা ৮০ পয়সা খরচা হয় । সেই জায়গায় পোল্ট্রির মালিকরা আড়াই টাকা করে ডিম বিক্রি করেছিল কয়েকদিন আগে অবধি।  সেই ক্ষতির মুখে পড়ে মুরগি পোল্ট্রি ফার্ম এর মালিকেরা ডিমওয়ালা মুরগি কেটে, মাংস বিক্রি করে। যার ফলে এই মুহূর্তে ডিম পাড়া মুরগির সংখ্যা অনেক কম।

advertisement

এমনিতেই ধাক্কা খাওয়া মুরগি ব্যবসায়ীরা যদি নতুন করে আবার ডিম প্রজনন করাতে চায়,তাহলে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে।এই সময় যদি পঞ্জাব থেকে ডিম পশ্চিমবঙ্গে জোগান দেওয়া যায় ,তাহলে হয়তো অনেকটা সমস্যার সমাধান হবে।  ডিমের আকাল কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা কেউ ধারণা করতে পারছেন না। কিন্তু জোগান নিয়ে খুব সংশয়ে রয়েছে ডিম ব্যবসায়ীরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Shanku Santra

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
ডিমের আকাল বাড়বে বাংলায়, করোনার জেরে জোগান কম!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল