রফতানি প্রক্রিয়া চালু হলেও আমদানি শুরু হতে আরও দু'মাস সময় লাগবে।কলকাতা এবং হলদিয়ায় জাহাজ আসার সংখ্যা কমেছে। আগে যেখানে জাহাজ আসত ১৪-১৫টি। এখন জাহাজ আসছে ৭-৮টি।পণ্য খালাসের পরিমাণ কলকাতা বন্দরে ৪৫℅ ও হলদিয়া বন্দরে ২৫% কমেছে। ব্যবসা বজায় রাখতে একাধিক সুবিধা দিচ্ছে বন্দর। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও নেপালের জন্যে। কন্টেনার বিনা পয়সায় রাখার জন্য দেওয়া হচ্ছে জায়গা।ছাড় দেওয়া হচ্ছে রেল ভাড়া। বন্দরের বিভিন্ন ভাড়া প্রায় ৫০% কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
জরুরি পণ্যের চাহিদা হতে সময় লাগবে। বাজার স্বাভাবিক হলে তার বরাত দেওয়া হবে। যেটা বন্দরে আসতে প্রায় দু'মাস সময় লাগবে। ফলে সেপ্টেম্বর মাসের আগে বন্দর স্বাভাবিক হবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।বন্দর সূত্রে খবর, কলকাতা ও হলদিয়া এই দুই বন্দরেই রফতানি প্রক্রিয়া ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হিসেব বলছে বন্দরে রফতানি মার খেয়েছে প্রায় ৭০%। জুন মাসের প্রথম মাসে থেকে রফতানি চালু করা হলেও, ঘাটতি কিভাবে মেটানো যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। গত তিন মাস ধরে লকডাউনের কারণে পূর্ব ভারতের শিল্প বাণিজ্য মহল কাঁচামাল সহ অন্যান্য পণ্যের বরাত দেয়নি। ফলে বন্দরে পণ্য আসার পরিমাণ কমেছে হু হু করে৷ কলকাতা বন্দরে বাক্স-বন্দি পণ্য বেশি আসে। হলদিয়া বন্দরে কয়লা, আকরিক, তেল বেশি আসে। মুলত উত্তর পূর্ব ভারত ছাড়াও নেপাল-ভুটান ও বাংলাদেশের পণ্য সরবরাহ করা হয় এখান থেকেই। যদিও সমস্ত জায়গাতেই লকডাউনের জেরে চাহিদা ভীষণ রকম কমে গিয়েছে।
বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, "বাংলাদেশ ও নেপালের জন্যে বন্দরে আমরা আলাদা জায়গার ব্যবস্থা রেখেছি। ব্যবসার জন্য তাদের আমরা নানা সুবিধা দিচ্ছি। আশা করা যায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।" বন্দর আধিকারিকদের আশা জরুরি পণ্যের চাহিদা ফের বাড়বে। অন্যদিকে এই সময় কলকাতা বন্দর বিশ্বের বাজারে স্টিলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আপাতত স্টিল পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে। অন্য জিনিষের জন্যে বাজার খুললে তার চাহিদা বেড়ে যাবে বলে মত তাদের। বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, "বিশ্বের বাজার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। এখানেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তাই বছরের শেষে আয় করা যাবে বলে আমরা মনে করছি।" তবে শুধু বন্দরের ব্যবসা নয়। করোনা ধাক্কা দিয়েছে বন্দরেও। একাধিক বন্দর কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই কারণে প্রতিদিন বন্দর স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে। সমস্ত কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
Abir Ghoshal