বিনোদন ব্যবসায় বেশ ক্ষতি করছে করোনা। কপালে ভাঁজ প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের। এই প্রসঙ্গে মিনার, বিজলি, ছবি ঘরের কর্ণধার সুরঞ্জন পাল জানালেন, ‘‘বছরের এই সময়ে এমনিতেই হলে কম দর্শন আসেন। ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল স্কুল-কলেজে পরীক্ষা চলে। তাই এমনিতেই কমে যায় দর্শক সংখ্যা। কিন্তু করোনার ভয়ে মাস গ্যাদারিং এ যেতে চাইছেন না দর্শক। দর্শক কমে যাওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে করোনার জেরে বেশ কিছু বড় ছবির রিলিজ পিছিয়ে দিচ্ছেন প্রযোজনা সংস্থা তাই অপশনের অভাবেও হলমুখী হচ্ছেন না দর্শক।'’’
advertisement
বলিউডের পাশাপাশি হলিউডের বেশকিছু ছবির মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে 'ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস নাইন' -এর মত সফল ফ্রাঞ্চাইজি। ছবির ব্যবসা মার খাওয়ার পেছনে অন্য একটি কারণও রয়েছে। মাইক্রোচিপ, প্রজেক্টরে ব্যবহার করার বাল্ব, এসব আমদানি চিন থেকে আপাতত যা একেবারেই বন্ধ। এইসব সামগ্রী জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন হল মালিকরা। অন্য জায়গা থেকে চড়া দামে এসব কিনতে হচ্ছে তাঁদের।
ছবির ডিসট্রিবিউটরদের গলায়ও একই সুর। ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান অশোক সাহা জানালেন 'দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, কেরালাতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। তাই বড় ছবি এখনই মুক্তি পাক সেটা চাইছেন না প্রযোজক সংস্থাগুলো। যেমন 'সূর্যবংশী'র মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৮৩- র মুক্তিও পিছনোর কথা ভাবা হচ্ছে। তাই দর্শকের কাছে দেখার মতো তেমন কোনও ছবিও নেই। এই সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে 'আংরেজি মিডিয়াম' এবং 'পার্সেল' দুটো ছবির ব্যবসা খুবই খারাপ। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ sales dig হয়েছে বলাই যায়'। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজ যেকোনো মুহূর্তে শাটার পড়ে যেতে পারে প্রেক্ষাগৃহেও। আশঙ্কায় দিন গুনছেন হল মালিক, ডিস্ট্রিবিউটর থেকে প্রযোজনা সংস্থা সকলেই।
Arunima Dey