হাইকোর্টের নির্দেশিকায় অবশ্য স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র যাঁরা ৮৪ দিনের আগে দ্বিতীয় ডোজ নিতে ইচ্ছুক, তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন৷
৮৪ দিনের তফাতে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিলে তা বেশি কার্যকরী হয় বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, কেউ তাড়াতাড়ি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবেন, নাকি ৮৪ দিন অপেক্ষা করে আরও উন্নত প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বেছে নেবে, সেই সিদ্ধান্ত টিকা গ্রহীতাকে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক৷ নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি পি বি সুরেশ বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যদি বিদেশ যাত্রার জন্য মানুষকে ৮৪ দিনের আগে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সুযোগ দিতে পারে, তাহলে চাকরি বা শিক্ষার জন্য কেউ আগেভাগে টিকা নিতে চাইলে কেন সেই সুযোগ পাবেন না?
advertisement
গত ৩ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ দেয় কেরল হাইকোর্ট৷ সোমবারই তা প্রকাশ্যে এসেছে৷ সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তৈরি করা নীতিতেই মানুষ চাইলে আগে টিকা নেওয়ার সুযোগের কথা বলা হয়েছে৷ যে কারণে অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
একটি বেসরকারি পোশাক সংস্থার তরফে নিজেদের কর্মীদের জন্য ৮৪ দিনের আগে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণের অনুমতি চেয়ে কেরল হাইকোর্টের কাছে আবেদন করা হয়৷ সংস্থার তরফে আদালতকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই তাদের পাঁচ হাজার কর্মীকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তারা৷ ৯৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় ডোজেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে সংস্থার তরফে৷ কিন্তু ৮৪ দিনের ব্যবধান পূরণ না হওয়ায় কর্মীদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ এই আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, টিকার কার্যকারিতা বাড়াতেই ৮৪ দিনের ব্যবধানের কথা বলা হয়েছে৷ করোনার টিকাকরণের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের সুপারিশেই কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ন্যূনতম ৮৪ দিনের ব্যবধান রাখা হয়েছে৷