এদিনের কথোপকথনে কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে জোরদার করার কথা বলেন। মূলত কথা হয় টিকা (COVID vaccine) বণ্টন নিয়ে। ফোনালাপের পর মোদি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী টিকা সরবরাহের কর্মসূচির আওতায় ভারতেও প্রতিষেধক সরবরাহের যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তার প্রশংসা করছি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘টিকা নিয়ে ভারত-আমেরিকা সহযোগিতা আরও মজবুত করা এবং কোভিড-পরবর্তী বিশ্বের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’
advertisement
হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা টিকার কমপক্ষে আট কোটি ডোজ পাঠাবে আমেরিকা। প্রথম দফায় বিশ্বে ২.৫ কোটি টিকার ডোজ দেবে। রাষ্ট্রসংঘের কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ১.৯ কোটি ডোজ দেওয়া হবে। তাতে আবার ৭০ লাখ ডোজ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাঠাবে আমেরিকা। তাছাড়া কানাডা, ভারত, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে সরাসরি ৬০ লাখ ডোজ পাঠানো হবে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই পরিকল্পনার বিষয়ে জানানোর জন্যই এদিন মোদিকে ফোন করেন কমলা। সেইসঙ্গে মেক্সিকো, গুয়েতেমালা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মতো দেশেও কমলার ফোন যায়।
যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, ভারতে প্রথম দফায় যে পরিমাণ টিকা পাঠানো হবে, তা দিয়ে ভারতে বড়জোর একদিন টিকাকরণ চলতে পারে। যদিও কোভ্যাক্স এবং সরাসরি - দু'ভাবেই টিকা পাঠানোর আশ্বাসে নয়াদিল্লি খুশি। প্রসঙ্গত, গত মাসেই আমেরিকায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনিই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যিনি বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেদেশে গেলেন। দু’দিনের সফরে তিনি মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, আলোচনার মূল ফোকাসই ছিল অতিমারীর মোকাবিলা ও টিকাকরণ।