দায়িত্ব পেয়ে করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলেন। এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইরাসের পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু যে ধাক্কা আমেরিকা খেয়েছে, তা বাইডেন সহজে ভুলবেন না। সরাসরি এমন একটা নির্দেশ দিয়েছেন তিনি যাতে চিনের কিছুটা হলেও বুকে কম্পন ধরবে। ৯০ দিন সময় দিয়েছেন গোয়েন্দাদের। খুঁজে বের করতে বলেছেন করোনা ভাইরাসের আসল কারণ।
advertisement
বন্যপ্রাণ থেকে উদ্ভুত হয়েছিল নোভেল করোনা ভাইরাস নাকি পরিকল্পনামাফিক চিনের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে এই সংক্রামক ভাইরাসটি? এই ভাইরাসের উৎস খুঁজতে মার্কিন সংস্থাগুলিকে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। প্রয়োজনে আরও বেশি পরিশ্রমেরও পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ট্রাম্প পরবর্তী সময়েও চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্বের পারদ ফের চড়তে শুরু করবে।
বিবৃতিতে বাইডেন জানিয়েছেন, করোনার উৎপত্তি নিয়ে গোয়েন্দারা এখনও দ্বিধাবিভক্ত। কারোর দাবি, চিনের পশুবাজার থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। কেউ আবার বলছেন চিনের গবেষণাগারেই তৈরি হয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস। কিন্তু কেউই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। ধোঁয়াশা মোড়া বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দরকার। বিশেষ করে এ বিষয়ে চিনের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিষয়ে বাইডেন সমমনস্ক অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। যাঁরা করোনার উৎপত্তি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চিনের চাপ তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক তদন্তেও চিনকে সহযোগিতা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ হেন মন্তব্য চিন-আমেরিকার সম্পর্কে নতুন করে সংঘাত তৈরি করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
