ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) তৈরি 2-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ (2-ডিজি) ড্রাগ । গ্লুকোজের মতো জলে গুলে খেতে হয় এই ওষুধ । এই ওষুধই এখন করোনা মোকাবিলায় নতুন দিশা দেখাচ্ছে চিকিৎসক মহলে । এই ওরাল ড্রাগ একবার খেতেই ইনদওরের সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার চমকপ্রদ উন্নতি হল । ৬৫ থেকে এক ধাক্কায় অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে দাঁড়াল ৯০ ।
advertisement
সন্তোষ গয়াল নামক ওই বৃদ্ধাকে গত রবিবার মধ্যপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । দেড় মাস আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু ফের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছিল তাঁর । পাশাপাশি হার্টের সমস্যা, আর্থারাইটিস ও স্তন ক্যান্সারও রয়েছে ওই বৃদ্ধার । ফলে অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক হয়ে গিয়েছিল । বৃদ্ধার শারীরিক অবস্তা নিরিক্ষণ করে চিকিৎসকরা তাঁকে 2-deoxy-D-glucose বা সংক্ষেপে 2-DG ওরাল ড্রাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । বৃদ্ধার মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লিতে । ডিআরডিও দফতরের তরফে চার প্যাকেট ডিআরডিও-র ওষুধ পাঠানো হয়। রবিবারই তা প্রয়োগ করা হয় বৃদ্ধার শরীরে । ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই অবস্থার দ্রুত উন্নতি হতে শুরু করে । অক্সিজেনের মাত্রা পৌঁছে যায় ৯৪-এ ।
ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসের (Institute of Nuclear Medicine and Allied Sciences) তরফে এই ওরাল ড্রাগ তৈরি করা হয়েছে। এটি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (Defence Research and Development Organisation), সংক্ষেপে DRDO-র অধীন একটি ল্যাবরেটরি। এছাড়াও এই ওষুধ তৈরিতে হাত লাগিয়েছে হায়দরাবাদের ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ (Dr Reddy’s Laboratories), সংক্ষেপে DRL। গত বছর কোভিডের প্রথম ডোজ যখন দেশে এল তখন থেকেই এই ওষুধ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল । ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে । এই ড্রাগটি পাউডারের মতো, জলে গুলে খেতে হয় । ধীরে ধীরে শরীরের আক্রান্ত কোষে ছড়িয়ে পড়ে গ্লুকোজটি । ভাইরাসের প্রোটিন উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিরোধ করে এটি । ফুসফুসের আক্রান্ত কোষেও সক্রিয় ভাবে কাজ করে এটি ।