অতিমারির জেরে শিল্প, চাকরি, অর্থৈনিতক বৃদ্ধি সবকিছু একেবারে থমকে গেছে ৷ সরকারের সিদ্ধান্তে এই অবস্থায় জারি রয়েছে সারা দেশে লকডাউন ৷ ২৮ মার্চ থেকে যা শুরু হয়েছে তা চলবে ১৭ মে অবধি ৷ The Nikkei/IHS Markit Services -র সমীক্ষা অনুযায়ি ক্রয় ক্ষমতার সূচক মার্চে যা ৪৯.৩ ছিল তা এপ্রিলে হয়েছে ৫.৪ ৷ এই সমীক্ষা -র ১৪ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম ৷
advertisement
এটি রয়টার্সের একটি সমীক্ষার পূর্বভাস যা ৪০ ছিল তাকেও ভেঙে দিয়ে ৫০ স্তরে পৌঁছে গেছে ,আর্থিক সংকোচনের হার ৷ এটাই কোনও অর্থনীতির মান নির্ণয়ের প্রধান হিসেব হয়ে থাকে ৷
নিজেদের সমীক্ষায় সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘শীর্ষসূচকে একেবারে ৪০ পয়েন্টের পতন বোঝাচ্ছে লকডাউনের ফলে অর্থনীতি একেবারে থমকে দাঁড়িয়েছে ৷
১৯৩০ থেকে সারা পৃথিবী যেরকম অর্থনৈতিক মন্দা দেখেনি এই করোনা ভাইরাস অতিমারির জেরে যা সারা পৃথিবী দেখল ৷
কল কারখানার কাজকর্ম থমকে যাওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ আর্থিক স্থবিরতা তৈরি হয়েছে এমনটাও বলা হয়েছে সমীক্ষায় ৷ এর পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টরে অবাধ পতনের কারণে মোট পিএমআই সর্বকালীন হ্রাস পেয়ে গত মাসে ৭.২ হয়েছে যেটা মার্চে ছিল ৫০.৬ ৷ এরফলে কার্যত অর্থনীতি একেবারে শুয়ে পড়েছে বলা যায়৷
১৯৯০ -র এপ্রিল -জুনের কোয়ার্টারে ভারতের অর্থনীতি হ্রাস হয়ে ৫.২ %.ছিল ৷ তারপর এটাই সবচেয়ে আর্থিক মন্দাগ্রস্ত কোয়ার্টারের মধ্যে দিয়ে ়়যাবে ভারতীয় অর্থনীতি এমনটাই দাবি রয়টার্সের সমীক্ষায় ৷
সমীক্ষায় বলা হয়েছে এরপর দেখতে হবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মোদি সরকার কীরকমভাবে আস্তে আস্তে অর্থনীতির এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারে ৷ কারণ সরকারের রাজস্ব নীতিতেও সীমিত জায়গা থাকবে এই ধাক্কা সামলানোর ৷
RBI ইতিমধ্যেই নিজেদের রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট ৭৫ বেসিস পয়েন্ট ও ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে ৷
সমীক্ষাকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ জিডিপি পরিসংখ্যানের ঐতিহাসিক ভিত্তিতে এপ্রিলে বাৎসরিক হারের ১৫ % অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৷ ’